পাতা:ভারতী ১৩১৮.djvu/১১৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

४०४२ সমস্ত মানবেরই যে একটা গুঢ়গভীর যোগ আছে ইহা সে বুঝি তই না । সমস্ত মানুষকে জানার ভিতর দিয়াই ধে নিজেকে সত্য করিয়া জানা যায় একথা সে স্বীকার করিতেই পারিত না। সে এই কথা মনে করিয়া নিজের চেকিতে খাড়া হইয়া মাথা তুলিয়া বসিয়া ছিল, যে, তাহার জাতি, তাহার সমাজ, তাহার ধৰ্ম্ম যেন ঈশ্বরের বিশেষ স্বষ্টি এবং চরম স্বষ্টি —অন্ত জাতি, ধৰ্ম্ম, সমাজের সঙ্গে তাহার মিল নাই এবং মিল থাকিতেই পারে না । স্বধৰ্ম্মে এবং পরধৰ্ম্মে যেন একটা অটল অলক্তঘ্য ব্যবধান । এদিকে তখন বিজ্ঞান বাহিরের বিষয়ে আমাদের জ্ঞানের বেড়া ভাঙিয়া দিতে আরম্ভ করিয়াছে। এই একটা মস্ত ভুল সে আম{ দের একে একে ঘুচাইতে লাগিল, যে, জগতে কোনো বস্তুই নিজের বিশেষত্বের ঘেরের মধ্যে একেবারে স্বতন্ত্র হইয়া নাই । বাঙ্কিরে তাতার বিশেষত্ব আমরা যেমনি দেপিন কেন, কতকগুলি গৃঢ় নিয়মের ঐক্যজালে সে ব্রহ্মাণ্ডের দূরতম অণুপরমাণুর সহিত নাড়ির বাধনে বাধা । এই বৃহৎ বিশ্বগোষ্ঠীর গোপন কুলজিখানি সন্ধান করিয়া দেখিতে গেলে তখনি ধরা পড়িয়া যায় যে ধিনি আপনাকে যত বড় কুলীন বলিয়াই মনে করুন না কেন, গোত্ৰ সকলেরই এক। এই জন্ত বিশ্বের কোনো একটি কিছুর তত্ত্ব সত্য করিয়া জানিতে গেলে সব কটির সঙ্গে তাহাকে বাজাষ্টয়া দেখিতে হয় । বিজ্ঞান সেই উপায় ধরিয়ু সত্যের পরখ লাগিয়া গেছে। কিন্তু ভেদবুদ্ধি সহজে মরিতে চায় না। করিতে ६कनन अग्ररूोग श्रेष्ङ आभन्त्र ভেদটাকেই , ভারতী । ফাল্গুন, ১৩১৮ cफ्रां८५ cनषिtउहि, cनईंग्लिई आभाप्नद्र स्त्रि সকলের চেয়ে পুরাতন ভ্যাস। তুই মানুষ বলিতে লাগিল জড়পর্য্যায়ে যেমনি হোকন কেন,জীৰপৰ্য্যায়ে বিজ্ঞানের ঐক্যeব খাটেন। পৃথিবীতে ভিন্ন ভিন্ন জীবের ভিন্ন ভিন্ন বংশ, এবং মানুষ, আরম্ভ হইতে শেষ পর্য্যন্ত, সকল জীব হইতে একেবারেই পৃথক । কিন্তু বিজ্ঞান এই অভিমানের সীমানাটুকুকে ও বজায় রাখিতে দিল না ; জীবের সঙ্গে জীবের কোথাও বা নিকট কোথাও বা দূরবর্তী কুটুম্বিতার সম্পর্ক আছে এ সংবাদটিও প্রকাশ হষ্টয়া পড়িল । এদিকে মানবসমাজে যাহারা পরস্পরকে একেবারে - নিঃসম্পর্ক বলিয়া সমুদ্রের ভিন্ন ভিন্ন পারে স্বতন্ত্র হইয়া বসিয়াছিল, ভাষাতত্বের স্তরে স্তরে তাহদের পুরাতন সম্বন্ধ উদঘাটিত হইতে আরম্ভ হইল । তাহাদের ধম্ম ও সামাজিক ইতিহাসের নান} শাখা প্রশাখায় উজান বাহিয়া মানুষের সন্ধান অবশেষে এক দূর গঙ্গোত্রীতে এক মূল প্রস্রবণের কাছে উপনীত হইতে লাগিল । এইরূপে জড়ুেজীবে সৰ্ব্বত্রই একের সঙ্গে আরের যোগ এমনি মৃদুরবিস্তৃত এমনি বিচিত্র করিয়া প্রত্যহ প্রকাশ হইতেছে, যেখানেই সেই ধোগের সীমা আমরা স্থাপন করিতেছি সেখানেই সেই সীমা এমন করিয়া লুপ্ত হইয়া যাইতেছে যে, মান্বয়ের সকল জ্ঞানকেই আজ পরস্পর তুলনার দ্বারা তেল •করিয়া দেখিবার উদ্যোগ প্রবল হইয় উঠিয়াছে। দেহগঠনের তুলনা, ভাষার তুলনা, সমাজের তুলনা, প্রথার তুলনা, কাহিনীর তুলনা, ধৰ্ম্মের তুলনাসমস্তই তুলনা। সত্যের বিচারসভায় আঙ্গ জগৎজুড়ির সাক্ষীর তলৰ পড়িয়াছে ; আজ