৩৫শ বর্ষ, একাদশ সংখ্যা । একের সংবাদ অারের মুথে না পাইলে প্রমাণ ংশয়াপন্ন হইতেছে ; নিজের পক্ষের কথা একমাত্র দুধ নিজের জবানীতেই বলে, প্লে বলে আমার শাস্ত্র আমার মধ্যেই, আমার তত্ব আমাতেই পরিসমাপ্ত, আমি আর কারে ধার ধারি না - তৎক্ষণাৎ তাহাকে অবিশ্বাস করিতে কেহ মুহুৰ্ত্তকাল দ্বিধা করে না । তবেই দেথা যাইতেছে মানুষ যেদিকটাতে অতি দীর্ঘকাল বাধা ছিল আজ যেন একেবারে তাহার বিপরীত দিকে আসিয়া পড়িয়াছে। , এতদিন সে নিশ্চয় জানিত যে সে খাচার পার্থী, আজ জানিতে পারিয়াছে সে আকাশের পাপী । এতকাল তুহিব চিম্বা, ভাব ও জীবনযাত্রার সমস্ত ব্যবস্থাই ঐ খাচাব eেীহশলাকা গুলার প্রতি লক্ষ্য করিয়াই রচিত ইষ্টয়াছিল। আজ তাক লইয়। আর কাজ চলে না । সেই আগেকার মত ভাবিতে গেলে সেই রকম করিয়া কাজ করিতে বসিলে সে আর সামঞ্জস্ত খুজিয়া পায় না। অথচ অনেক দিনের অভ্যtস অস্থিমজ্জায় গাথা হইয়। বহিয়াছে। সেইজন্তই মামুষের মনকে ও ব্যবহারকে আজ বহুতর অসঙ্গতি অভ্যস্ত পীড়া দিতেছে। পুরাতনের আসবালগুলা আজ তাহার পক্ষে বিষম বোঝ ੋਂ ਥੋਲਿੰਂਝ, অথচ এত দিন তাহাকে এত মূল্য দিয়া আসিয়াছে যে তাহাকে ফেলিতে মন সরি ζεζε τί ; (ಆಗ যে অনবগুক নহে, তাহার যে চিরকালই সমান মূল্যবান এই কথাই প্রাণপণে নানাপ্রকার সুযুক্তি ও কুযুক্তির দ্বারা সে প্রমাণ করিতে চেষ্টা করিতেছে । যতদিন খাচায় ছিল ততদিন সে দৃঢ়রূপেই ধৰ্ম্মের নবযুগ । >めb○ জানিত তাহার বাস চিরকালের জন্তই কোনো এক বুদ্ধিমান পুরুষ বহুকাল হইল বাধিয়া দিয়াছে ; আর কোনো প্রকার বাসা একেবারে হইতেই পারে না, নিজের শক্তিতে उनरश्हे 5. —সে ভানিত তাছার প্রতিদিনের খাদ্যপানীয় কোনো একজন বুদ্ধিমান পুরুষ চিরকালের জন্ত বরাদ্দ করিয়া দিয়াছে, অন্ত আর কোনো প্রকার থাপ্ত সম্ভবপরই নহে, বিশেষত নিজের চেষ্টায় স্বাধীন ভাবে অন্নপানের সন্ধানের মত নিষিদ্ধ তাছার পক্ষে আর কিছুই নাই। এই নির্দিষ্ট খাচার মধ্য দিয়া যেটুকু আকাশ দেখা যাইতেছে তাহার বাহিরে ও যে বিধাতার স্বষ্টি আছে একথা একেবারেই আশ্রদ্ধেয় এবং এই সীমাকে লঙ্ঘন করার চেষ্টমাত্রই গুরুতর অপরাধ । আধুনিক পৃথিবীতে সেই পুরাতন ধৰ্ম্মেৰ সহিত নুতনবোধের বিরোধ খুবই প্রবল হইয়া উঠিয়াছে। সে এমন একটি ধৰ্ম্মকে চাহিতেছে যাহা কোনো একটি বিশেষ জাতির বিশেষ কালের বিশেষ ধৰ্ম্ম নহে ; যাহাকে কতক গুলি বাহ পূজাপদ্ধতি দ্বারা বিশেষ রূপের মধ্যে আবদ্ধ করিয়া ফেলা হয় নাই ; মামুষের চিত্ত যতদূরই প্রসারিত হউক যে ধৰ্ম্ম কোনো দিকেই তাহাকে বাধা দিবে না, বরঞ্চ সকল দিকেই তাহাকে মহীনের দিকে অগ্রসর হইতে আহবান করিবে । মামুষের জ্ঞান আজ যে মুক্তির ক্ষেত্রে আসিয়া দাড়াইয়াছে সেইথানকার উপযোগী হৃদয়বোধকে এবং ধৰ্ম্মকে না পাইলে তাছার জীবনসঙ্গীতের স্বর মিলিবে না, এবং কেবল ভাল কাটিতে থাকিবে । Jo
পাতা:ভারতী ১৩১৮.djvu/১১৩৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।