পাতা:ভারতী ১৩১৮.djvu/১৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○ R● পরক্ষণেই আবার ধন ও ঋণ পৃথক হইবে ও ংযোজক তারের ভিতর দিয়া আবার একত্রীভূত হইয় পড়িবে। এইরূপে অবিরাম একটা স্রোত ঐ সংযোজক তারের ভিতর বহিতে থাকিবে। ইহাই বৈদ্যুতিক স্রোত। এক্ষণে আমাদের পূর্বকথিত অয়স্কৃতি দ্রবের বৈশিষ্ট্য কি দেখা যাউক । তাড়িৎ‘কোষের দুই প্ল্যাটিনাম প্রান্ত যদি কোন অয়স্কৃতির জলীয় দ্রবে ডুবান যায়, দেখা যাইবে যে, তার সংযোগে যেমন বৈদ্যুতিক স্রোত প্রবাহিত হইত, এস্থলেও সেইরূপ স্রোত অনায়সে প্রবাহিত হইতেছে । * কিন্তু তড়িৎ প্রবাহের সঙ্গে সঙ্গে ঐ দ্রবের মধ্যে একটি ' বিশেষ পরিবর্তন লক্ষিত হয় । ওখায়ই • দ্রবণীয় বস্তুর রাসায়নিক বিশ্লেষণ ঘটে এবং বিশ্লিষ্ট অংশ তাড়িৎপ্রান্তে বা :উহার চতুঃপার্থে উদ্ভূত হইয়া থাকে। একটা দৃষ্টান্ত লইলে স্পষ্ট বুঝিতে পারা যাইবে। তাম্র ও গন্ধকান্ন সংযোগে এক প্রকার অয়স্কৃতি উৎপন্ন হয় উহাকে চলিত কথায় তুতে বলে । ঐ ভুতে জলে গুলিলে ঈষৎ নীলবর্ণ দ্রব হয় । তাড়িৎ ' কোষের দুই প্রান্ত ঐ তুতের দ্রবে ডুবাইলে শীঘ্রই দেখা যাইবে যে ঋণপ্রান্তস্থিত প্লাটিনামের উপর তাম্রবর্ণ প্রলেপের দ্যায় একটা অtবরণ পড়িতেছে এবং ধন প্রান্ত হইতে ভারতী । জ্যৈষ্ঠ, ১৩১৮ অনিলের বুদ্ধদ উঠিতেছে । তুতের, দ্রব চইতে বিশ্লিষ্ট হইয়া তাম্র ঋণ প্রান্তে ও অন্নজন ধনপ্রান্তে উদ্ভূত হইল । দ্রবের বর্ণও মন্দ্রীভূত ও মান হইয়া আইসে । এস্থলে দুইটি বিশেষ ক্রিয়া লক্ষিত হইল। প্রথমতঃ তুতে বিশ্লিষ্ট হইল ও দ্বিতীয়ত: বিশ্লিষ্ট অংশ কেবল তড়িৎপ্রাস্তেই উদ্ভূত হইল ; মধ্যস্থ দ্রব কেবলমাত্র বর্ণহীন হইতে Sলাগিল । ধন প্রাস্তে তড়িৎ আসিয়া দ্রবে প্রবেশ করিল। যদি * তাড়িতের দ্বারা তুঙের বিশ্লেষণ কাৰ্য্য সম্পন্ন হইল এমন হয়, তবে ঐ ধন প্রান্তেই তাম্র ও অম্লজন একত্র উদ্ভূত হইল না কেন ? কেবলমাত্র অল্পজনই ঐ স্থানে দেখা দিল, এবং তাহার উপযুক্ত তাম সমগ্র তুতের জলের ভিতর দিয়া গিয়া অপর প্রাস্তে দেখা দিল । তাম্রের ঐ গতি ত দেখা গেল না—কেবল বোধ হইল তাম্র ঋণপ্রাস্তেই সন্ত উদ্ভূত। অপিচ পরীক্ষা দ্বারা জানা যায় যে, ধন প্রাস্তের চতুঃপাশ্বের দ্রবে গন্ধকুম্ন দ্রাবক প্রচুর পরিমাণে উৎপন্ন হইয়াছে। ইহাই বা কোথা হুইতে আসিল ? আরও এক কথা—যদি তাড়িৎ ঐ বিশ্লেষণ কাৰ্য্য সম্পন্ন করিয়া থাকে তাহা হইলে ত উহার পুনবিশ্লেষণ ক্ষমতা কিয়ুৎ পরিমাণে হ্রাস হইয়া গিয়াছে । কিন্তু বস্তুতঃ দেখা যায়

  • বৈদ্যুতিক প্রবাহের পরিচয় চুম্বক স্বচীর সাহায্যে অতি সহজে অমৃতুত হয় । চুম্বকু হুচী ( একখণ্ড

স্বচ্যাকার চুম্বক কোন সুগাগ্র কীলকের মধ্যস্থলে স্থাপিত ) সাধারণতঃ উত্তর দক্ষিণ লম্বরেখায় অধিষ্ঠিত থাকে। যদি বৈদ্যুতিক শ্রেীত ঐ টীর উপরিভাগে দক্ষিণ প্রাপ্ত হইতে উত্তর গ্রান্তের দিকে পরিচালিত হয় তবে স্বচর উত্তর প্রান্ত পশ্চিম দিকে প্ৰহত হইবে । সুতরাং সংযোজক তারের এক অংশ উত্তর দক্ষিণ লম্বমান করিয়া একটি চুম্বক স্বচর উপরিভাগে আনিয়ে বুঝা যাইবে যে ঐ তারে বৈদ্যুতিক স্রোত প্রবাহিত হইতেছে কিন; আর যদি হইতেছে ত কোন দিক হইতে কোন দিকে।