৩৫শ বর্ষ, দ্বিতীয় সংখ্যা । তারপরে সমস্ত দিনব্যাপী একটা হৈ হৈ ব্যাপার চলিতে লাগিল! এখন রান্না বাড়ীর দিকেই ধূম বেশী। বধূর মাথায় কাপড় জড়াইয়া “আখা” নামক বৃহৎ হোমকুণ্ডে বড় বড় কড়া ডেকচি চড়াইয়া যজ্ঞের পূর্ণাহুতির ব্যাপার প্রস্তুত করিয়া তুলিতে লাগিল । তরকারি কোটার ব্যাপার রাত্রেই শেষ করিয়া রাপা হইয়াছিল। দেখিতে দেখিতে কাচ', তরকারীর স্তুপ কমিয়া মাছের আমৃদ্ৰানি আরম্ভ হইল। উঠানের একপারে বট পাতিয়া ঝিয়ের মাছ কুটিতেছে, কেহ বা ধুইয়া আনিয়া আমিষ-রান্নাঘরে ঢালিয়া দিতেছে। অগ্নিব প্রবল উত্তাপে বধূদের মুখ ফুলের টকটকে হইয়া উঠিতেছে, তথাপি সঙ্গস্তমুখে সাননো—“এতে হবেনা খুড়িমা, এক কড়া ছাচুড়ায় কি কুলুবে ? এইটাই ণেকে বেশ থাবে । আরও চাটি আলু বেগুন সিম কুটে দিতে বলুন, মাছের কটি চোব ড্রা এখনো ঢের আছে। মুগের ও বোধ হচ্ছে আর এক ডেস্ক,মই !. ఇt : 3 শু ক্ল, শাক ও বোধহয় আর এক কড়, চড়াতে" হলে ; দু কড়াতে হবে ত? বুঝে দেখুন পাছ” - ইত্যাদি বাক্যে তাহদের অশ্রান্ত উৎসাহ প্রকাশ করিতেছেন এবং ফুটন্ত তৈলে মাছ ছাড়িয়া দিতেছেন। শ্বাশুড়ী ঠাকুবাণী উtহাদের জন্ত জল পান দধি ইত্যাদি লক্টয়া বারে বারে আলিতেছেন ও "বড় বেীমা, ছোট বেীমা, বাছারা আগুনের সালে খুন হ’ল, ঠাকুর ভোগ হবে তত্ত্বে বাছারা একটু জল মুখে দিতে পাবে” ইত্যাদি বাক্যে, ক্ষোভ প্রকাশ করিতেছেন; অথচ নিজে এখনো রান করিবার অবকাশ পৰ্য্যন্ত পানু মাই। दिइब्र ताप्लेो ।
- २१
ঠাকুরভোগের পর বরের আয়ুর দ্ব্যর আরম্ভ হইল। একপাল বালকও বরের সঙ্গে পায়স ভক্ষণে বসিল । তখন আবার সকলকে পাকশাল হইতে হাত ধুইয়া পাত্রকে আশীৰ্ব্বাদ করিতে যাইতে হইল, নহিলে খুড়িমা ছাড়িবেন না । ব্যাচারা বর সেবার আশীৰ্ব্বাদিকাদিগকে প্রণাম করিতে ভুলিয়। গিয়াছিল, মাতা মনে করিয়া দিলে সে অপ্রস্তুত ভাবে ভ্রম সংশোধন করায় মেজদিদি সহাস্তে বলিলেন “হ্যা, আর ভুল হয় না যেন ! এ ক'দিন প্রত্যেক কাজে বপ্তিনাথের গরুর মত মাথা নাড়ার কসরৎ দেখানে চাই ।” আইবড় ভাতের ভোজ মিটিতে প্রায় সন্ধ্য হইল। একজন জ্ঞাতি বরকে রাত্রিভোজে নিমন্ত্ৰণ করিলেন। দুইদিন নিমন্ত্রণ রক্ষা করিতে করিতে বর ব্যাচারী ত্ৰাহি ত্ৰাহি করিয়া উঠিল । मृश्tsङ्ग भङ ७क १टा भिप्टेम्न s क्ल्नु পাঠান্ধয়া এখানে প্রতিবেশীরা নিষ্কৃতি লয় না। বরের সঙ্গে তাছার বাটতে সমাগত আত্ময়কুটশ্ব সস্তানগুলিও প্রত্যেকের বাটতে নিমন্ত্রিত হইয় থাকে। , পরদিন অধিবাস ! “এয়োদে"র ডার্কাইয়। তাহাদের মধ্যে জনৈক গরিষ্ঠাকে প্রধান সধবার পদে বরণ করিয়া নুতন কাপড় পরাইয়া কামাইতে বসান হইল। নাপিত বধুও নুতন কাপড় পরিল। তখনও অল্প স্বল্প রঙের খেলা চলিল। একে একে সমাগত সকল সধবা ও কুমারীদের আলতা পরাইয়া পান সুপারী সন্দেশ দিয়া সম্বদ্ধনা করা হইল । পুত্রের • আয়ুদ্ধি কামনায় গ্রামের ইতর ভদ্র সকলেয় ৰাষ্ট্ৰী তৈল সন্দেশ পান সুপারী