পাতা:ভারতী ১৩১৮.djvu/১৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৫বর্ষ দ্বিতীয় সংখ্যা । শেরে বরের পায়ের নীচে দিয়া তাহ বাহির করিয়া লইয়া বরের দক্ষিণ হস্তে যথাসাধ্য জটিল গ্রন্থি বাধিয়া দিল । বিবাহের পর, এই সুত্র কন্যার দ্বারা খোলাইতে হইবে। পুড়িম, এইবার এসে কলো মাথায় করে পান দিয়ে ববেব চোপ ঢেকে দাড়াও বtছ, আ! গুরিটা হ’লেই হয় ! ধোবা দিদি, এগিয়ে আয় । তিনটে করে খড়ের মুড়ো এনেছিল, ত ? ঐ গড় কটা দিয়ে আগুন জাল, এক একটা করে তিনবার তিনটে মুড়ো নিয়ে প। বরণ কর । ঠাকুরপোর পরণের এ কাপড়াথান ধোবার পাবে ।" বরণ সমাপনাস্তে ধোপ। বেী থড়ের ছাই লইয়া জিহবাগ্রে তিনবার স্পর্শ করিল । কেছ জিজ্ঞাসা করিল “তেত’ না মেটে: ?" ধোপা বেী তিন বারই বলিল “মেটো” । আগুরি সমাপ্ত হইলে বর অগ্নিস্পশ করিয়া এবং সে বস্ত্র ছাড়িয়া অদ্য বস্ত্র পরিয়া “কামানে" বসিল । নরমুন্দর কাৰ্য্য সমাপনান্তে নিজ প্রাপ্য বস্ত্ৰ লইতে. ভূলিল না। কপালে সাতবার."হলুদ । ছোয়াইয়া, ছাউনি হাড়ির জল মস্তকে ছিটাইয়া দিয়া তথন সকলে বর সজ্জায় মন দিল । চন্দনে চর্চিত, ফুলের গড়ে মালায় ভূষিত, ললাটে দধির ফোট, মস্তকে টোপর ; হস্তে দর্পণ ও বারাণসীর জোড়ে সজ্জিত বরকে তখন ছালুতলায় আনা হইল। সকলে আশীৰ্ব্বাদ করিলেন। জননী নিজ পদধূলি লই৷ বামহস্তে পুত্রের মন্তকে দিলেন, দক্ষিণ হন্তের কনিষ্ঠাগুলি ঈষৎ দংশন করিয়া, বক্ষে খুংকুড়ি , দিয়া মৃত্ন স্বরে বলিলেন “কোথায় যাচ্চ বাবা ?” পুত্র নত মস্তকে বন্সিল " "তোমীর দাসী . . विtग्र वांज़ेौ । ృNరిరి আনতে”। হুলু, বান্ত ও শঙ্খধ্বনির মধ্যে বর শিবিকারোহণ করিল। নরসুন্দর ছুটিয়া আসিয়া বলিল “যাঃ বরের রাত্রের জল খাবার পান নেওয়া হয়নি । আগে যে সেই জল খাবার বর খাবে, তার পরে তাদের বাড়ীর খাওয়া। শীগ্‌গির দেন, যা আমি মনে না করব তাত আর হবে না” ! 射 অতঃপর মহু! সোরগোলে বর ও বরকর্ডার পান্ধী চলিয়া গেল। পূজা অন্তে মণ্ডপের মত বিয়ে বাড়ী নিমিষে “ভে ভে হইয়া পড়িল । খুড়ি মা সজল চক্ষে দাওয়ায় আসিয়া,বসিলেন, সঙ্গে সঙ্গে সকলেই বিমর্ষ ভালে বসিল । সন্ধ্যাকালে একবার ছালাবরণ করিতে এয়ের একত্র হইয়া, কুল, ডাল ঐ ইত্যাদি লইয়া সকলে সাতবার ছান্‌লাকে প্রদক্ষিণ করিলেন, কিন্তু "বিয়ে বেরিয়ে” ৰাওয়ার পর “বিয়ে বাড়ী’র কোন কাৰ্য্যেষ্ট পূৰ্ব্বের মত উংসাহের মুর মিলিলন । পয়দিনও ঐরূপ ‘সিম্পানে” কাটাইয় বৈকালে সকলে বর কনে আসার জন্তু প্রস্তুত হইতে লাগিল। ছাল্লাতলায় জোড় পীড়ি পাতিয়া "কুল-ডালা শ্ৰী” সব বাহির করিয়া রাধ হইল। সৰ্ব্ব কাৰ্য সমাপনান্তে নগণ যেই নিজ সজোয় হাত দিয়াছেন অমনি গ্রামের বাহিরে বাদ্যের শব্দ শোনা গেল ! “বিয়ে এসে প’ল বিয়ে এসে প’ল” মহ! কোলাহল পড়িয়া গেল । গ্রামের বালকবালিক বৃদ্ধ যুবতীর বিয়ে বাড়ী অভিমুখে ছুটিয়া আদিতে লাগিল। মুখে উলু, হস্তে শঙ্খ, কেইবা অঞ্চলে খই কড়ি লইয়া সদর দরজাভিমুথে ছুটিল। বাস্ত শব্দের উপরও তিন গুণ “হেঁই ও ছইও” শব্দ