পাতা:ভারতী ১৩১৮.djvu/১৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৫৭ বর্ষ, দ্বিতীয় সংখ্যা । বেংশের সন্তান সন্ততিরা আমাদের বাঙ্গালার এমন কি ভারতবর্ষের ধৰ্ম্ম, সাহিত্য সঙ্গীত নাট্য প্রভৃতির পথপ্রদর্শক ;–ভারতীয় চিত্রাঙ্কণরীতির প্রবর্তক অবনীন্দ্রনাথও সেই শ্ৰেষ্ঠ বংশোদ্ভূত। অবনীন্দ্রনাথের শিল্পে আবাল্য অমুরাগ। র্তাহার বাল্যরচিত বহুচিত্র পূৰ্ব্বে ভারতী সাধনা প্রভূতি পত্রিকার প্রকাশিত হইত। সেই সকল পূৰ্ব্বতন চিত্র দেখিলে তাহার উচ্চভাবের ক্রমোন্নতি বিশেষরূপে অমৃভূত হয় । শুনিয়াছি, প্রসিদ্ধ চিত্রকর রাজা রবিবৰ্ম্ম কোন সময়ে র্তাহীদের জোড়াসাঁকে ভবনে তাহার স্বৰ্গ পিতা গুণেন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয়ের কাছে আসেন। সেই সময়ে বালক অধৰ্মীন্দ্রনাথের কতকগুলি পৌরাণিক গল্প অবলম্বনে রচিত রেখাঙ্কণ চিত্র দেখিয়া বলিয়াছিলেন, “বালকের সাহস ত কম নগ্ন ?—এখন হইতেই এরূপ গুরুতর বিষয় আঁকি বার চেষ্টা ! *রবিবৰ্ম্ম তাহার মৃত্যুর কিছুদিন পূৰ্ব্বে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয়ের আঁকা, “মৃত্যুশয্যায় বাদশাহ শাজাহানে”র একখানি একবর্ণে মুদ্রিত প্রতিলিপি দেখিয়া বিস্তর প্রশংসা করিয়াছিলেন। মোগল রাজ্যের অবসানে কিছুকাল আমাদের দেশের শিল্পচচ্চ একেবারে কমিয়া গিয়াছিল। অধুনা ইংরাজ রাজত্বে ইংরাজী শিক্ষার প্রভাবে পঞ্চাশ বৎসর , যাবৎ দিন নি বিলাতি চিত্ররীতিই প্রচলিত হইয় পড়িয়ছে। প্রথমে অবনীন্দ্রনাথও একজন *बाव नभोव्र निकल्ले भाझाउा निश्न निक অবনীন্দ্রনাথ ও চিত্রাঙ্কণপদ্ধতি । পরিত্যাগ করেন ; '(t') যামিনী প্রকাশ গঙ্গোপাধ্যায় মহাশয় ও র্তাহার সহিত একত্রে ইংরাজ শিক্ষকের কাছে শিক্ষিত। পরে ১৩•৫ সালে তিনি , তাহার পিতামহের পুস্তকাগারে একখানি অতি প্রাচীন কোন মোগল বাদশাহের আমলের চিত্রপুস্তক দেখিয়া ভারতীয় শিল্পের প্রতি সৰ্ব্বপ্রথমে আকৃষ্ট হন । ফলে, তিনি পাশ্চাত্য রীতিতে চিত্র-লেখা একেবারে ' এবং সেই সময় উক্ত প্রাচীন ভারতীয় চিত্রের রীতিতে শ্রীকৃষ্ণের বৃন্দাবন লীলার কতকগুলি মুন্দর ছোট ছোট চিত্র অঙ্কিত করেন। এই সকল চিত্ৰ দেখিয়া ডাক্তার কুমার স্বামী মুগ্ধ ভাবে সংবাদপত্রে এই চিত্রের অজস্র প্রশংসা প্রসঙ্গে এই কথা লিথিয়াছিলেন যে, অবনীন্দ্রনাথের " চিত্রগুলি দেখিতে দেখিতে মনে হয় যেন বৃন্দাবনে বিরাজ করিতেছি । e সৌভাগ্যক্রমে সেই সময় অবনীন্দ্রনাথের একজন , সহকারী মিলিল। কলিকাতা গভমেন্ট শিল্পবিদ্যালয়ের ভূতপূৰ্ব্ব প্রধান অধ্যক্ষ ঐযুক্ত ই, ভি, হাভেল সাহেবও ঠিক সেই সময় ভারতের নানা প্রাচীন শিল্পকীৰ্ত্তি দেখিয়া মুগ্ধ হন ও রাজ প্রতিনিধি লর্ড কর্জনের সাহাধ্যে ভারতে ভারতীয়, শিল্পের প্রবর্তন উদ্বেপ্তে শিল্পবিদ্যালয়ে এক নুতন ভারতশিল্পের বিভাগ খোলেন। কর্জন সাহেব এবিষয়ে উৎসাহী ছিলেন। তিনি ভারতের শিল্পোন্নতির উপায় সম্বন্ধে তাহার দিল্লী দরবারে পঠিত বক্তৃতায় বলিয়াছেন— "বিদেশীয় ভাবগ্রহণদ্বারা কখনই ভারত শিল্পের গুনুরুন্ধার হইতে পারে না।” শুনা যায়, নুতন ভারতশিল্পের বিভাগ