পাতা:ভারতী ১৩১৮.djvu/২০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
left
ভারতী।
জ্যৈষ্ঠ ১৩১৮

যায়, ঘর পরিষ্কার করে, অর্থাৎ ভূঃতার ও পাচকের কাজ তাহার দ্বারাই সারিয়া লওয় হয়। হায় কারিক। —পিসী কারিকা কোথায়, তুমি? তোমার কত সাধের, কত আদরের মাহ—আজ ভৃত্য হইয়া দিন কাটাইতেছে! একবার যদি সে রাজ্য ফিরাইয়া পায় ত, মনের যেত কিছু আক্রোশ—কিন্তু না, খুব মিষ্টকথায় আদর-অভ্যর্থনার সহিত জিমনাজের দলকে সে দাহমিতে লইয়া যায়! তার পর এই মরোভ। হারজের দলকে জীবন্ত মাটিতে পুঁতিয়া সর্পের গ্রাসে নিক্ষেপ করে! দারুণ অপমানে থাকিয়া থাকিয়া নাদুর বুকখান! যেন জ্বলিয়া উঠে! এই আগুনে মরোভাঁঁর দলকে যদি সে পুড়াইয়া মারিতে পারে, তবেই মনের ঝাল মিটে, চূড়ান্ত প্রতিশোধ লওয়া হয়, ভগবান কি সে দিন দিবেন না? মাহুর চোখ দুইটা শঘের মত জ্বলিতেছিল!

জ্যাকের প্রাণ শিহরিয়া উঠিল! মাহুর কাহিনী শুনিয়া তাহার দুঃখ হইতেছিল—আহা, রাজপুত্র মাছ—আজ সামান্য চাকরের মত সে খাটিয়া সারা হইতেছে! মাছ কহিল, “তোমার মা বেশ বড় লোক, অনেক টাকা আছে, তাঁর?” জ্যাক “হ্যাঁ!” মাছ কহিল, “তাই এরা তোমাকে এত আদর করছে! অত্যাচার করে.! টাকা না থাকলে এরা বড় দেখছ ত, আমাকে!” জ্যাক কিছু বলিল না। তখন দুই নূতন বন্ধুতে মিলিয়া গল্প করিতে করিতে কখন যে ঘুমাইয়া পড়িল, তাগ কেহই জানিতে পারিল স্বপ্নের ঘোরে জ্যাকের মুখে হাসি ফুটিয়া উঠিল। সে স্বপ্ন দেখিতেছিল, যেন সে মাছকে লইয়া মার কাছে ফিরিয়া গিয়াছে, মাহকেও না কত আদর করিতেছে! (ক্রমশঃ।

শ্রীসৌরীন্দ্রমোহন মুখোপাধ্যায়।

মৃত্যুর পরেও আণবিক জীবন।

এতদিন জানিতাম মরিলেই সব ফুরাইল, জ্ব যন্ত্রণা সব দূর হইল। আাজ বিজ্ঞানগর্ব্বিত বিংশ শতাব্দী আমাদের যে চিরামত বিশ্বাস বিজ্ঞানের কুঠারাঘাতে নির্মূল করিতে বসিয়াছে। এতদিন সব শ্রেষ্ঠ বৈজ্ঞানিকও বলিতেন যে, যে মুহূর্কে হৃৎপিণ্ডের স্পন্দন স্তব্ধ হইয়া গেল, সেই মুহূর্ত্ত হইতেই জীবের মৃত্যু। সেই মুহূর্ত্ত হইতে জীবদেহের কার্য্যকরী শক্তির বিলোপ হইয়। ঐ দেহ পঞ্চভূতে মিশিতে আরম্ভ হয়। এখন শুনিতেছি আর এক অদ্ভুত কথা। হৃৎপিণ্ড নিস্তব্ধ হইয়া গেল, ধমনীতে শোণিতু প্রবাহ এক্কেবারে রুদ্ধ হইয়া গেল, আমি গরিলাম- কিন্তু আমার সুক্ষ্ম শরীরটা নাকি তখনো মরে নাই। 1? কহিল, না।

দেহ নাকি বলিতেছে “আমায় পচিতে দিও 21. বা জীবাণুর আক্রমণ থেকে আমায় রক্ষা কর, উপযুক্ত খাদ্য দাও- আমি মরি না: মরিব না!” এ আবার কি? তবে কি যখন ডাক্তার জবাব দিয়া গেল, দাহ করিবার জন্য লোক ইতস্ততঃ ছুটাচুটী করিতে লাগিল, দুই একজন হয়ত উচ্চৈঃস্বরে কেহ বা নীরবে কাঁদিতে লাগিল- তখন আমার শরীরটা অসাড় হইয়া পড়িয়া মঙ্গা দেখিতে থাকে? মার্কিণের দুইজন খ্যাতনামা অধ্যাপক, ক্যাপ্স্েও বয়োল, অনেক পরীক্ষার পর নাকি এইরূপই সাব্যস্ত করিয়াছেন। তাঁহাদ হুইপ্রকার জীবনের কথা বলেন। প্রথম,