SసెB ক্রমে বিক্রীত হারটি মথির হস্তে প্রদত্ত হইল। মথি বোহেমীরের হস্তে রাজ্ঞীর নামাঙ্কিত লিপি প্রদান পূৰ্ব্বক হার লইয়া প্রস্থান করিলেন। মূল্য সম্বন্ধে এইরূপ কথা স্থির হইল যে, বোহেমার সমগ্র মুল্য এককালে প্রাপ্ত হইবেন না, আংশিকৰূপে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে রাষ্ট্ৰী ঋণ পরিশোধ করিবেন। মূল্যের প্রথমাংশ প্রদানের নির্দিষ্টকাল উপস্থিত হইণে * বোহেমার রাজ্ঞীর কোষাধ্যক্ষ সমীপে গমন করিলেন ; কিন্তু কোষাধ্যক্ষ মূল্য প্রদানে অস্বীকৃত হইলেন। বোহেমার বিক্রীত হারের বিনিময়ে অঙ্গীকৃত মুদ্র প্রাপ্ত না হইয় রাজ ভবনস্থ জনৈক মহিলার নিকট অভিৰোগ করিলেন। রাঙ্গ তন্থত্তান্ত অবগত হইয়া রোহানকে ভৎসনা করায়,—রোহান উত্তর করিলেন, “মথি আমাকে যে পত্র দেখাইয়াছিলেন তাহা আমি রাজ্ঞী কর্তৃক স্বাক্ষরিত বলিয়া বিশ্বাস করিয়াছিলাম, সেইজন্ত আমি হার ক্রয় • কালে উপস্থিত ছিলাম।” রাজা বিরক্তি সহকারে বলিলেন “আপনি রাজভবনের জনৈক, প্রধান কৰ্ম্মচারী, ফরাসিরাঙ্গী কি প্রকারে নাম স্বাক্ষর করেন তাহা অল্প অtয়াসেই অবগত হইতে পারিতেন"। ইহার কিয়ৎকাল পরেই রোহন এবং মথি ধূত হইয়া বিচারার্থে প্যারিস পার্লিয়ামেণ্টে প্রেরিত হইলেন । হীরকহার প্রসঙ্গীয় অদ্ভুত ব্যাপারে সমগ্র ফরাসিভূমি আলোড়িত হইয়া উঠিল। কৌতুহলtফ্রান্ত হইয়া প্যারিসের আবাল বৃদ্ধ, বনিত বিচার কালের আগমন প্রতীক্ষা করিতে লাগিল। অনন্তর বিচারকালে এক অদ্ভুত ভারতী। জ্যৈষ্ঠ, ১৩১৮ রহস্য উদঘাটিত হইল। হীরকহার ক্রয়ের অব্যবহিত পরে মথি রোহনকে বলেন “হীরক হার ক্রয় প্রসঙ্গে আপনি যে কাৰ্য্য করিয়াছেন তজন্ত রাজ্ঞী আপনাকে ধন্যবাদ প্রদানের নিমিত্ত ছদ্মবেশে রজনীযোগে আপনার সহিত ত্রিযান উদ্যানে সাক্ষাৎ করবেন।” রজনীযোগে নিভৃতে রাজ্ঞী দর্শন লাভ সম্বন্ধে কৃতনিশ্চয় হইয়া রোহান মহানন্দে ত্রিধান উদ্যানে গমন করেন ; তথায় উপস্থিত হইয়। দেখিলেন যে মেরি অন্তয়নেৎ সদৃশী অপুৰ্ব্বরূপলাবণ্যসম্পন্ন মহিলা ছদ্মবেশে তাহার নিমিত্ত অপেক্ষা করিতেছেন । মহিলা বচনমৃধা বর্ষণে রোহানের কর্ণযুগল পরিতৃপ্ত করিয়া স্বহস্তে র্তাহাকে একটি গোলাপ কুসুম দান করিলেন। রোহান ক্ষণকালের নিমিত্ত স্বৰ্গমুখ উপভোগ করিয়া অপার আনন্দ উদ্যান হইতে নিষ্ক্রান্ত হইলেন । সেই ছদ্মবেশধারিণী, কুঞ্জবিহারিণী, মধুরভাষিণী রমণী কে ? ইনি কি সেই অনিন্দ্ব্যরূপিণী অষ্ট্ৰীয়ানন্দিনী, ফরাসী মহারাণী মেরি অস্থয়নেৎ ? ইনি কি যথার্থই হীরকহার ক্রয় করিয়া রোহানকে গুপ্তভাবে ধন্তবাদ প্রদানের নিমিত্ত ছদ্মবেশে নিশাকালে নিভৃতে ত্রিযানন উস্তানে আগমন করিয়াছিলেন ? রোহনের তৎকালে বিশ্বাস জন্মিয়াছিল যে ইনিই সেই জাৰ্ম্মাণনন্দিনী ফরাসী রাজ্ঞী। জনসাধারণের ধ্রুব বিশ্বাস যে তিনিই সেই মহারাণী অন্তনয়েৎ । যাই হউক পালিয়ামেণ্টে বিচারসমিতি প্রমাণের অবস্থ পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে পৰ্য্যালোচনা করিয়া স্থির করিলেন যে, সেই ত্রিধান উদ্যানবিহারিণী মহিলা মহারাণী অস্তয়নেও
পাতা:ভারতী ১৩১৮.djvu/২১৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।