ভারতী של শুনলেন না। বিস্কুটের টন কেটে তে চাকা হলো, পাতলা কাঠির ছিলকে দিয়ে পাখ ছুটি হবে—কিন্তু এইবার পেট্রোল না হলে তো চলবে না। সোফার আমায় দেয় না--তুমি যদিবাবা তাকে একটু দিতে বলে দাও তাহলেই দেখবে আমার . এয়ারোপ্লেন छ्बळ् कनि আকাশে উঠতে থাকবে। ঐ আবার তুমি বই পড়চো—” মুকুর অভিমানকে আজ কাল রজনীনাথ অত্যন্ত ভয় করেন, তাই তাড়াতাড়ি বই রাখিয়া বলিলেন “না রে একটু দেখে নিলুম, আচ্ছা থাক।” স্বপ্রকাশ খুলী হইয়া কাছে ঘেঁসিয়া আসিল, রিব্রতভালে কেfলৈ प्राथोप्ले রাখিয়া দুই হাঁতে গলাটা জড়াইয়া ধরিল “আচ্ছা বাবা সবার চাইতে আগে কোন দেশের লোকেরা . উন্নত হয়েছিল?”এ প্রশ্ন নুতন নয়; রজনীনাথ স্নেহের সহিত হাসিলেন “আমাদের দেশ ।” স্বকৃও হাসিল । ७धनगभब्र बनाई श्रनिड्स বলিল, “অlরজেণ্ট টেলিগ্রাম ঐকট এসেছে।” শুনিয়াই কে জানে কেন হঠাৎ রজনীনাথ চমকিয় উঠিলেন, তিনি রসিদট সই করিতে লাগিলেন মুকু,উঠিয়া বসিয়া খামখানা ছিড়িয়া ফেলিয় তাহা হইতে রিং-টি সংগ্রহ করতে থিয় জ্বাঞ্ছার মনে পড়িয়া গেল যে ইহাতে দিদি পুতুলের বলি করিত। ক্ষুদ্র বুকথামা আলোড়িত হইয়া উঠিল। পাছে বাবা তাহার মনোগতভাব বুঝতে পারিয়া কাতর হন সেই ভয়ে তাড়া তাড়ি টেলিগ্রামটা খুলিয়া পড়িবার চেষ্টা - করিঙে লাগিল । করিলেন “বুঝতে পারছিস ?” ‘স্বপ্রকাশ অকস্মাৎ সর্পদষ্টের মতন চমকিয়া আৰ্ত্তকণ্ঠে o | t বৈশাখ, ১৩১৮ অর্কুট চীৎকার কুরিয়া বলিয়া উঠিল, “ও বাবা, একি লিখেছে—দিদির অমুখ— সিরিয়ুস,—মানেতে খুব বেশি ?” ঘরের মধ্যেকার সমস্ত বায়ুবেগ একেবারে রুদ্ধ হইয়া গিয়া রজনীনাথের নিশ্বাস রোধ করিয়া . ফেলিবার উপক্রম করিল। শান্তির কঠিন পীড়া ! . সুকুর হাত হইতে তাড়াতাড়ি টেলিগ্রামখান লইয়। রজনীনাথ পড়িলেন। কি পড়িলেন যেন বুঝিলেন না— নিস্তব্ধে কাগজ থানার প্রতি বদ্ধ দৃষ্টি হইয়৷ রছিলেন। " স্থপ্রকাশ, সভয়ে ডাকিল “বাবা ।” “রজনীনাথ মুখ তুলিলেন প্রাণহীনের মতন বর্ণবিহীন ও মান সে মুখের দিকে চাহিয়া ভীত মুকু আরও শিহরিয়া উঠিল । একটুখানি চুপ করিয়া থাকিয়া সাহস করিয়া সে আবার বলিল “বাবা” ? “কি ?” “াবেন না আপনি দিদির কাছে ? দেরি হয়ে बायझे যে” । রজনীনাথ স্বপ্নোখিতের মতন চমকিয়া উঠিয় অধীরকণ্ঠে , বলিয়া উঠিয়েন “যাবে। ন সুকু,—যাবে বই কি ! সে যে আমায় ডেকেচে !” স্থ প্রকাশ দুই তাতে মুখ ঢাকিয়া সহসা কাদিয়া উঠিল । রজনীনাথ ঘর হইতে চুটিয়া বাহির হইয় গেলেন। ডাক্তার লইয়া ষ্টেশনে গাড়িভে উঠিবার সময় হঠাৎ নজর পড়িল মুকুও তাছার সঙ্গে আসিয়াছে। রজনীনাথ কাহাকেও কিছু না বলিয়া একেবারে রোগীর ঘরে প্রবেশ রজনীনাথ জিজ্ঞাসা • করিলেন। তাছার ধীর ও সংযত ভাব দথিয়া কেহ মনে করিতেও পারিল না যে তিনিই এই শঙ্কটাপন্ন রোগীর পিতা। হেমেন্দ্র মনে
পাতা:ভারতী ১৩১৮.djvu/৩৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।