२8 ভারতী । ইহার এই কার্য্যের জন্ত প্রত্যেকে মাসিক একশত আশি টাকা ( e০ ডলার ) বেতন ও থোরাক পাইয়া থাকে। এই ধরণের হিন্দুব্যাও শুনিয়া আমাদের বাদ্যযন্ত্র, ও সঙ্গীতের প্রতি এদেশের লোকের কিরূপ ধারণা জন্মে তাহ সহজেই বোধগম্য । তাড়াতাড়ি সার্কাস দেখা শেষ করিয়া হোটেলে গেলাম, পরদিন অতি প্রহ্লাষে ছয়টায় একটা ওয়েগন গাড়ীতে করিয়া কার্য্যস্থল অভিমুখে রওনা হইতে হইবে। ভোর ছটায় ছাড়িয়, নানা প্রকারের শস্তক্ষেত্র ও ফলের বাগান অতিক্রম কবিয়া প্রায় সাড়ে নয়টার সময়, অষ্টমীদের আড়ায় আসিয়া পৌছিলাম। এখানে আসিয়া দেখি যে মতগুষ্টি তামু ছিল, সমস্তই অন্তান্ত শ্রমজীবী দ্বার অধিকন্তু হইয়াছে। কোথাও আমরা ১২ জনে একত্রে একটা তাম্বু পাইলাম না। কোম্পানীকে জানাইলাম, আমরা ১২ জনে একত্রে বিভিন্ন তাম্বুতে বাস করিতে চাই । আমরা সাধারণ শ্রমজীবিদের সঙ্গে থাকিতে না שיסל,&tיR: চtহারকারণ এদেশে শ্রমজীবির সাধারণতঃ বড় মাতাল এবং তাঁহাদের অনেকেরই নানা প্রকারের দূষণীয় ব্যারাম পীড়া থাকে। সমস্ত শ্রমজীবিই যে এই প্রকারের তাঁহা নহে, ভাল লোক ও বিস্তর আছে। তবে শুনিয়াছিলাম যে অধিক দিন অস্নাত থাকার জন্তু ইহাদের সকলেরই প্রায় শরীরে এক প্রকারের উকুন জন্মিয় থাকে, এবং উহা একজনের অঙ্গ তইতে অপরের অঙ্গে অতি সহজেই চলাফের করে এবং ইহা একবার জন্মিলে তাহা হইতে ছাড়ান পাওয়া বড় কষ্টকর, সমস্ত বিছানা পত্র পোড়ানো ভিন্ন পরিত্রাণের অন্ত উপায় নাই। দেশে থাকিতে শুনিতাম কাবুলিদের গাত্রে একরূপ পোকা আছে, কিন্তু তাহ তখন বিশ্বাস করিতাম না, এখানে আসিয়া ‘গায়পোকা’ প্রত্যক্ষ করিলাম। যাহা হউক অবশেষে আমাদিগের জন্ত একটা স্বতন্ত্র তাম্বু ঠিক হইল। কিন্তু সে রাত্রির জন্ত কোম্পানি আমাদিগকে স্বতন্ত্র তা দিতে পারবে না বলায়, আমরা বাহিরে তৃণশয্যায় রাত্রি যাপন করিলাম। জামরা কাৰ্য্য করিবার জন্ত প্রস্তুত হইয়াছি।
পাতা:ভারতী ১৩১৮.djvu/৩৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।