8 o 8 পক্ষে অতীব স্পৃহণীয় অবস্থা তাহাতে সন্দেহ নাই। এই পথ যে অপরেরও অবলম্বনীয়, তাহাও নিঃসংশয় ; কিন্তু সমগ্রভাবে জনসমাজের উন্নতিসাধন করিতে হইলে, এবং এই জ্ঞানস্পৃহা জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপ্ত করিতে হইলে, অপরের সহিত মিলিত হইয়া সামাজিক ভাবে নানা উপায় অবলম্বন করা আবশুক । মনে কর তোমরা দশ জনে মিলিয়৷ একটি সাধারণ পাঠাগার ও পুস্তকালয় স্থাপন করলে, সব্বসাধারণের জন্ত তার দ্বার উন্মুক্ত কারলে, সেখানে জ্ঞানী পুরুষদিগকে নিমন্ত্ৰণ করিয়া সৰ্ব্বসাধারণের জষ্ঠ তাহাদের অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করিতে প্রবৃত্ত করিলে, ওtহার ফল এই হইল যে, যে জ্ঞানৈিলাক তোমার ব্যক্তিগত অস্তরে আবদ্ধ iছল, তাহা চারিদিকে ব্যাপ্ত হইয়া পড়িল ; যে জ্ঞান-ম্পূহ তোমার চিত্তে অগ্নিব স্থায় জলিতেছিল তাহ সাংক্রামিক তাপশ ক্রর দ্যায় হয়ত শত শত চিত্তকে উ গুপ্ত করিয়া তুলিল । অতএব বর্তমান সময়ে ፶፮•፧ এই একট। ভাব দাড়াইতেছে যে, ব্যক্তিগত জীবনের উন্নতির জন্য যেমন ব্যক্তিগত উপায় অবলম্বন আবগুক, তেমনি সামাজিক জীবনের উন্নতির জন্ত সামাজিক উপায় ও অবলম্বনীয় ; কিন্তু আমাদের প্রাচীন iশক্ষা এই সামাজিক চেষ্টার অমুকুল নহে ; তাহাতে ব্যক্তিগত সাধনকে ফুটাইয়াছে, অনাসক্তি ও বৈরাগকে উৎপন্ন করিয়াছে, পার; গ্রক কল্যাণের সহিত তুলনায় ঐহিক ੋਂ তুচ্ছ কারস্বাছে, ভোগ অপেক্ষা ত্যাগকে প্রিয় জ্ঞান করিয়াছে ; কিন্তু মানবের সামাজিক জীবন "নি4ের ভারতী । ভাদ্র, ১৩১৮ ও সামাজিক উন্নতির প্রতি অন্ধ থাকিয়াছে বলিলে অত্যুক্তি হয় না । এইজষ্ঠই এদেশের সমাজ গতিশীল ন হইয়া স্থিতিশীল হইয়। রহিয়াছে। সামাজিক উদ্যম ও চেষ্টার অভাবে জ্ঞান ও ধৰ্ম্মভাব কতিপয় সাধকের মধ্যে বদ্ধ রহিয়াছে ; এবং সাধারণ জনমণ্ডলী অজ্ঞতার মধ্যে বাস করিতেছে । যেটা গারদ খান সেটার উন্নতিতে আবার কাহার মন থাকে ! যার হাত পা কঠিন শৃঙ্খলে বধ, মুখ বুঞ্জিয়া সহ ক4াই যার একমাত্র পথ, সে আবার কোন সামাজিক উন্নতির প্রয়াস পাইবে । এরূপ প্রাণিপুঞ্জের সমাজ স্থিতিশীল হওয়া অনিবাৰ্য্য । ধন্মের পাল্পত্রিকতার পরে উল্লেখযোগ্য বিষয় শাসন-শক্তি ও বাধ্যতা অর্থাৎ একদিকে শাসন শক্তি অপরদিকে বাধ্যতা । আমাদের দেশের প্রাচীনের স্পষ্ট বুঝিয়া লইয়াtছলেন যে, মানবসমাজকে রাখতে হইলে ইহার অঙ্গীভূত ব্যক্তিদিগকে চিস্ত ও কাৰ্য্যের বিষয়ে সম্পূণ স্বাধীনতা দিলে চলিবে না । যেমন গুহ পরিবারের মধ্যে প্রত্যেক শিশু যদি স্বীয় স্বায় অভিপ্রায় মত চলে ; এবং স্বীয় স্বীয় প্রবু হুর অসুসারে কার্য্য করে, তাহা ইষ্টগে গৃঙ্গে শৃঙ্খলা ও মুনিয়ম থাকে না ; এই কারণে যেমন শিশুদিগকে পিতামাতাম আজ্ঞাধীন রাখতে হয়, তেমনি জনসমাজে ও মায়ণের কর্তৃত্ত্বের একটা সীমা নির্দেশ করিতে হয় | এষ্ট জহুষ্ট তাছার আদেশ করিয়াছিলেন যে, গৃহ-পরিবারকে পিতার অধীন, নাৰীণ পুরুষের অধীন, প্রজাসাধারণক্লে " পুরোহিন্তের অধীন, রাজ্যকে রাজার অধ" {াখিঙেই হইবে। এই শাসন-শক্তি ও বাতি
পাতা:ভারতী ১৩১৮.djvu/৪৩৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।