পাতা:ভারতী ১৩১৮.djvu/৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

es " আপনার রিডিং ক্লবের স্থালে টিচিং ক্লব করিয়া তাহার মেম্বর হইলেন । প্রত্যেকে স্ব স্ব অৰসন্ন ও কষ্টসহিষ্ণুতার মাত্রানুসারে প্রতিদিন কিম্বা প্রতিসপ্তাহে • এক ঘণ্টা কাহাকেও কিছু শিখাইবার প্রতিজ্ঞ গ্রহণ করিলেন যদি বৃহৎ পরিবারভুক্ত হন তবে নিয়মিওঁ সময় বোঝিদের লইয়া বসিলেন । বাঙ্গলা জানেন ত কিছু বাঙ্গলা পড়াইলেন, ইংরাজী জানেন ত ইংরাজী শিথাইলেন, গান বাজন,সেলাই বা আলিপনা বা য কিছু জানেন তাঁহাই অষ্টকে দান করিলেন। যদি বাড়ীতে শিক্ষাপাত্রী না থাকে' পাড়াপড়শীর মেয়েদের বলিয়। 'রাখবেন, তাছাদের জড়,করিম শিখাইবেন। যদি কাছাকাছি পল্লী না থাকে, তবে নিজের গৃহের বিচারের মেয়েকে ডাকিয়া শিক্ষাদান করিবেন। .মোট কথা এই, দানের সংকল্প . থাকিলে পত্রিীর অভাব হইবে না। ব্রত প্লালনের দৈনিক লিপি, লিখিতে হইবে। যদি কখন নিয়মভঙ্গ হয়, ব্ৰত স্থলন হয়, তবে দৈনিকলিপিতে টুকিয়া রাখিয়া প্রায়শ্চিত্তস্বরূপ মহামণ্ডলকে অর্থদণ্ড পঠাইয়া দিবেন। এই বৈশাখ মাস আসিতেছে। ভারতবর্ষ ময় কৃত সহস্র ভারতনারী ১লা বৈশাখ হইতে কত শতবিধ ব্রত গ্রহণ করিবেন। আপনাদের মধ্যে যাহার নব্য আলোক প্রাপ্ত র্তাহারাও একবার সকলের সঙ্গে এক, মনপ্রাণ হউন, নুতন বৈশাখে - নূতন ব্রত লউন । এই ভারতের মাটিতে আমাদের সকলের শয়ীরই গঠিত, এই মাটির গুণে যে সংযমশিক্ষা আন্তের চর্চা করিতেছে আমরা डाश'. হইতে নিজেদের বঞ্চিত রাখি কেন? আর পুরাতন থেয়ালের ভগ্নিগণ তোমাদের দশটি ভারতী । দুয়েতে স্পর্শে। বৈশাখ, ১৩১৮ . ব্ৰতের মধ্যে দেশকালের প্রয়োজন অনুসারে আর একটি ব্রতের স্থান কর । বিদ্যাদানও ষে একটি পুণ্যকাজ, তাহাও যে নিত্য কৰ্ম্মের । ডাঙ্গীভূত করা উচিত তাং সৰ্ব্বসাধারণকে উপলব্ধি করাও, নিজের বিদ্যা দানের ব্রত লও, এবং অপরকে লওয়াও । ব্রতের লাভ ইহা দ্বারা আত্মোপকার ও পরোপকার দুইই সাধিত হয়। যিনি ব্ৰত লয়ন সংযম ও নিয়মের দ্বারা তার আত্মোন্নতি সাধন হয়, জড় বা পশিব ভাব হইতে তিনি ক্রুমে মনুষ্যত্বের ভাবে উঠিতে শেখেন, এবং ব্রতজনিত দানের দ্বারা পরের উপকার इम्न ।' ইহাছাড়া স্ত্রী-মহামণ্ডল হইতে কারুকার্ধ্যকুশল, নারীদিগের হাতের কাজ একত্র করিয়া পাড়ায় পাড়ায় আমরা বিক্রয়ের ভাণ্ডার খুলিয়া দিব। হয়ত তাহাতে কোন দুঃখিনীর ছেলেটির জলখাবারেরও উপায় হইবে, হয়ত কাহার ও • শীতের বস্ত্র জুটিবে, কাহারও বা স্কুলের মাহিয়ানাটা আসিবে । আমাদের

দেশের মেয়েদের বুক ফাটুে ত মুখ ফুটেনা

তাই যদি এমন বন্দোবস্ত করিয়া দেওয়া যায় যে ভাণ্ডারিণী ছাড়া আর কেহই অবগত হইবেন না যে কে কোন জিনিষটি পাঠাইলেন তবে অনেকেই জিনিষপত্র পাঠাইয়া নিজেদের নির্বাহের একটা উপায় করিত্বে উৎসাহিত হইবেন। { কেবল একজনের অস্তিরিক চেষ্টায় কত দুঃসাধ্য মহৎ কাৰ্য্য পৃথিবীতে সংসাধিত হয়— আর সমস্ত ভারতবর্ষের স্ত্রী-মহামণ্ডলের সমবেত চেষ্টায় কি না হইতে পারে ? কৰ্ম্মের বন্ধনের স্তায় এমন কাছে টানা