পাতা:ভারতী ১৩১৮.djvu/৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৫শ বর্ষ, প্রথম সংখ্যা । • মুরারি বলিল, “অধিপেট যে জুট্‌ছে এটাই ভাগ্য বলে মেনে?” রোদ পড়য়া আসিলে, ছেলে-মেয়েরা যখন• প্রাণ ভরিয়া খেলা করিত, তাহদের সে উল্লাস চীৎকারে তারাশঙ্করের চোথ ছল-ছল করিয়া আসিত । সে ভাবিত, “ই রে অভাগারা—” २ মনসাখালির জমিদার হরকান্ত চৌধুরী পুপ্রশোকে কাতর হইয়া পৃষ্ঠাকে লইয়া নানা তীৰ্থ ঘুরিয়া শেষে কাশীবাস করিতেছিলেন । গৃহে ফিরিবার দিকে তাহাব বড় একটু ইচ্ছ ছিল না। বিষয়-কৰ্ম্মে ক্ষতি হইতেছে দেখিয়া কৰ্ম্মচারীবর্গ ও গুরুদেব তাহাকে নানাভাবে বুঝাইলেন, শেষে শাস্ত্রকথা পাড়িয়া বসিলেন, এ ভবসংসারে শোক পায় নাই এমন লোক বিরল, সংসারীর নানা কৰ্ত্তব্য আছে, কাতর হইলে চলিবে না । এবং গৃহিণীঠাকুরাণীর কঠিন পীড়াবশতঃ পুত্রমূখ দর্শনের তুশ চরিতার্থ হইবার সম্ভাবন না থাকিলেও• পোষ্যপুত্ৰ লইলে বংশলোপের আশঙ্কা নাই ইত্যাদি । | 象 কথাটা হরকাস্তের মন্দ লাগিল ন – নানা মন্ত্র ও ঔষধ-মাণ্ডুলির ব্যবস্থা করিয়া যে পুএ তিনি পাইয়াছিলেন, সে ত রংিলই না ! বিপুল বিষ্ণু ও প্রাচীন বংশটা রক্ষা করিতে হইলে পোষ্যপুত্র লওঙ্কা ভিন্ন এখন আর উপাই বা কি ? কিন্তু তেমন একটি পুত্রই বা মিলে কোথায় ? - একজন কৰ্ম্মচারী আসিয়া বলিল, “দশাখ, মেধে কাছে একটি লোক আছেন, নাম তারাশঙ্কর চক্রবর্তী,অনেকগুলি ছেলে মেয়ে— অকৃতজ্ঞ । ❖ፃ অবস্থ। খারাপ—ছোট ছেলেটি দেখতেও যেন কাৰ্ত্তিক, পাচ বৎসর মাত্র বয়স—” 競 ు 尊 . বাড়ার সম্মুখে রোয়াকে বসিয়া তারাশঙ্কর,তামাকু টানিতেছিল, এমন সময় হরকাস্তের দেওয়ান আসিয়া প্রণাম করিল। দেওয়ান আগমনের উদ্দেশু বুঝাইয়া দিলে, তারাশঙ্কর অনেকক্ষণ স্থির হইয়া বসিয়৷ রহিল। দেওয়ান কহিল, "তা হলে মশায়ের ইচ্ছ। নাই, বোধ হয়—তবে আসি—মুপি করবেন!" তারাশঙ্করের যেন চমক ভাঙ্গিমে সে কহিল, “বমন, আমি আসছি।” তারাশঙ্কর আসিয়া স্ত্রীর নিকট ব্যাপুর খুণিয়া বালল। শুনিয়া স্ত্রী বলিল, পোড় কপাল! পেটের ছেলে বিক্ৰী করব— গলায় দড়ি জোটে না ?” * . তারাশঙ্কর হতবুদ্ধির মত দাড়াইয়া রহিল, পঙ্গে কহিল, ”কিন্তু তুমি বুঝছ না, ছেলেট থেয়ে বাচবে--ভবিষ্যতে কত বড় সম্পত্তির সে মালিক হবে—সকলের ভাল হবে—” স্ত্রী ভ্ৰকুটি করিয়া বলিল, “অমন ভালর মুখে আগুন ।” 尊 . . . তারাপুর বলিল, “বলছে এখন পাচশ টার্ক নগদ দেবে-তারপর যতদিন আমরা বেচে থাকবে, ততদিন পনেরে টাকা করে মাসহার দেবে—" 邏》 穩 স্ত্রী বলিল, "মন টাকার কাজ নেই, আমার r পেটে স্থান দিছি যখন, একমুঠে খেতেও দিতে পারব—” স্ত্রীগুহকার্যে চলিয়া গেল ! তারাশঙ্কর নিম্পদের মত দাড়াইয়া রহিল। সে মহা