পাতা:ভারতী ১৩১৮.djvu/৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

છ8 অভিব্যক্তির ফল । যে অমুকুল ঘটনাপবম্পরার সমবায় ফলে আজ মনুষ্যের বর্তমান অবস্থা, বিপরীত ঘটনায় তাহার সমূহ পরিবর্তন অবগুম্ভাবী । স্বদূর ভবিষ্যতে বায়ুমণ্ডলস্থ অম্লজানবাম্পের অল্পতা নিবন্ধন মঙ্গুষ্যের শারীরিক গঠন কিরূপ হইবে science Siftings নামক বৈজ্ঞানিক পত্র তাঙ্গার ক বৰ্ণনা দিয়াছেন। পাঠকবর্গের কৌতুহল নিবারণ জন্ত আমবা নিম্নে তাহ বিবৃত করিতেছি। ভূমিতলের সন্নিকটবৰ্ত্তী লুপ্তাবশেষ অম্লজান বায়ু গ্রহণ করিবার জন্ত মানবকে প্রথমতঃ চতুষ্পদ প্রাণীর - স্তায় হস্তপদাদির উপর ভূর দিয়া বিচরণ করিতে হইবে ; অম্লজানবায়ুর নুন্নতাবশতঃ বায়ুমণ্ডলীতে জলীয় বাম্পের অভাব হওয়ায় উত্তাপাধিক্যনিবন্ধন মমুষ্যের দেহচৰ্ম্ম বৃক্ষত্চের দ্যায় স্থল ও কঠিন হইবে ; স্বল্প স্বক্ষ লোমকূপগুলি শ্বাসপ্রশ্নাস ক্রিয়ার সহায়তা করিতে গিয়া ক্রমশঃ বদ্ধিতায়তন হইবে ; বদ্ধিত কর্ণদ্বয় ফণাকৃতি ধারণ করিয়া মণ্ডলাকারস্বরূপ হইবে এবং নাসিকা লতাতত্ত্বর স্তায় শুণ্ডাকৃতি প্রাপ্ত হইবে; ক্ৰমে মহন্য সরীস্বপভাবাপন্ন হইয়া যতই ভূতল-অবলম্বী হইবে ততই তাহার পদদ্বয় অকৰ্ম্মণ্য ও অনাবগুক হইয়া উঠিবে ; পরিশেষে আত্মরক্ষার্থ জাহাব শরীরস্থ রোমাবলী সজাধর ন্তায় কণ্টকে পরিণত হইবে। " মৃদুর ভবিষ্যতে মানবদেহের এই অভ্যস্তৃত ভাবী পরিণতি আপাততঃ আমাদের বিস্ময় ও অবিশ্বাসের কারণ হইলেও, বায়ুমণ্ডলস্থ আমজানবাম্পের পরিমাণ যে দিন দিন এক ভারতী। , ততই পরিলক্ষিত হইতে থাকে । বৈশাখ, ১৩১৮ হ্রাস পাইতেছে তা বিবিধপ্রকারে প্রমাণিকৃত झुइँझोप्छ् । ব্যোমযান-সহযোগে বিমানারোহণ করিলে দেখা যায় যে সমুদ্রতল হইতে যতই উৰ্দ্ধদেশে উখিত হওয়া যায়, অমঙ্গানবায়ুর অপ্রাচুর্য্য দশ বার হাজার ফুট উপরে অমঙ্গানবায়ুর অল্পত এতই অনুভূত হয় যে আমাদের হৃদপিণ্ডেব ক্রিয় রুদ্ধ হইবার উপক্রম হয় এবং তদৃদ্ধে আরোহণ করিলে জীবনীশক্তির লোপ হই আকস্মিক - মৃত্যু ঘটিবার যথেষ্ট সম্ভাব দাড়ায় । ফলতঃ, এই যে সুবিস্তুত বায়ুমণ্ডলে আমরা বাস করিতেছি, ইহার উদ্ধদেশ যবক্ষারজানবহুল এবং তলদেশ অম্লজানবাষ্পঘন । গুরুত্ব-নিবন্ধন আমজানের গতি নিম্নাভিমুখে এবং অপেক্ষাকৃত লঘু বলিয়৷ যবক্ষারজান উদ্ধগামী । সুতরাং অম্লজানবাম্পের পরিমাণ সত্য সত্যই যদি হ্রাস পাইয়া থাকে, তবে তাহা নভোদেশেই সৰ্ব্বপ্রথমে লক্ষিত হইবার কথা । এব• বৈজ্ঞানিক -পর্য্যবেক্ষণ দ্বাব। ইহাই প্রকৃত অবস্ত বলিয়া প্রতিপন্ন হইয়াছে । বিগত কয়েক বৎসর ধরিয়া সভ্যজগতে গগনপর্য্যটনের যে বিপুল প্রয়াস দেপা দিয়াছে –ব্যোমযানাদির উন্নতিসাধন, বৈজ্ঞানিক অভিযানাদির দ্বারা পৰ্ব্বত শিখরে উপনিবেশ সংস্থাপন, বিবিধ উড়ীয়মান যন্ত্রের উদ্ভাবন প্রভৃতি বিচিত্র চেষ্টার ফলে ইহা স্পষ্টাকৃত হইতেছে যে অধুনা পৰ্ব্বত শিখরে শ্বাসপ্রশ্বাসগ্রহণ t; পূৰ্ব্বাপেক্ষ অধিকতর কষ্টসাধ্য । অধিকন্তু, বায়ুমণ্ডলস্থ উপাদান নিচয়ের পৰিবৰ্ত্তন ব্যাপার আমরা অন্ত এক কারণে