পাতা:ভারতী ১৩১৮.djvu/৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৫শ বর্ষ, প্রথম সংথ্যা। বিশেষরূপে বুঝিতে পারি। তাহা এই যে মানুষের জীবনীশক্তি প্রভূত পরিমাণে স্থাস পাইয়াছে। সভ্যতার বিজয়প তাক৷ হস্তে লইয়া দিগন্তব্যাপিনী উন্নতির জয়ধ্বনি তুলিয়া ভূপৃষ্ঠে সগৰ্ব্বে বিচরণ করিলেও, ছড়া নিশ্চিত যে অধিকংশ মান বই, বিশেষতঃ . নাগরিকবৃন্দ, তাছাদের জীবনীশক্তি পূৰ্ব্বপুরুষপেক্ষ অনেক পরিমাণে হারাষ্টয়াছে। পুথিবীর জনসংখ্যার ক্রমবৃদ্ধি, অরণ্যানী সমূহের বিলোপসাধন, এবং রুত্রিম উদ্ভাবন নিত প্রাকৃতিক শক্তিনিচয়ের 'বিপৰ্য্যয় বশতঃ জড়জগতে যে প্রতিক্রিয়! আরম্ভ হইয়াছে, বায়ুমণ্ডলস্থ উপাদান সমূহেব পরিবর্তনব্যাপারে আমরা তাঙ্কারই অভিব্যক্তি দেখিতে পাইতেছি । - অম্লজানবীপের এই ক্রমবিলোপের সঠিক পরিমাণ যদিও অঙ্কপাত করিয়া আপাততঃ দেখান সম্ভব নহে, কিন্তু ইঙ্গ আমাদের স্মৰণ রাখা উচিত যে, বায়ুমণ্ডলে অন্নজনের প্রাচুর্য্য আমবা চিৰকাল স্বাশ করিতে পারি ন৷৭ পৃথিবীর দ্যায় मोडीब्रभान, কোন গ্রহই অম্লজানবাষ্প চিরদিন ধরিয়া বাখিতে পারে না ; ভূপৃষ্ঠ যতই শীতল ইষ্টবে, শিলামৃত্তিক-সংগঠনে অম্লজানবাপ ততই ব্যয়িত হইবে। যুগযুগান্তব ব্যাপিয়া এষ্ট প্রক্রিয় স্কুড়জগতে চলিয়া আসিতেছে।" কেহ কেহ এইরূপ" অনুমান করেন যে বায়ুমণ্ডলস্থ 'অমঙ্গানবাম্পের এই অবগুম্ভাবী ক্ষয় পূৰণ জন্য, মহাকাশ হইতে অম্লজানবাপ পৃথিবীত আসিয়া উপস্থিত হইতে পারে। , কিন্তু এ পর্যন্ত কেহই , আমাদের এই অত্যাবগুক বাম্পের উৎপত্তিস্থাম এবং જ চয়ন—মানবের ভবিষ্যৎ । ૧છ૮: কিরূপেই বা ইহা পৃথিবীতে আসিয়া উপস্থিত হইতে পারে, তাহ নির্ণয় করিতে সমর্থ হন নাই। পক্ষান্তরে, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলুস্থ অম্লজানবাষ্প উদ্ভিদ জগৎ হইতে প্রাপ্ত হই বলিয়াম্ব আমরা জানি । অতএব ইহা বেশ বুঝিতে পারা যায় যে ভূপৃষ্ঠস্থ অরণ্যানী সমূহের সংরক্ষণ আমাদের জীবন ধারণোদ্দেশ্যে কিরূপ প্রয়োজনীয়। যদি ভূমণ্ডলস্থ কতকটা নিদিষ্ট বিশালক্ষেত্র উদ্ভিদ-উপাদানের জন্ত রক্ষিত না হয়, তাহা হইলে আমরা আমাদের জীবনরক্ষার একটি প্রধান সহায়ের উৎপত্তিমূলে কুঠাবাঘাত, করিব। ' আর একটী পদার্থ আমাদের বায়ুমণ্ডল হইতে অন্তৰ্হিত হইতেছে—তাহ অঙ্গারামজান, ইহাও শীতায়মান পৃথ্বীপৃষ্ঠ কর্তৃক শোষিত, হইতেছে। শিগামৃত্তিক-সংগঠনে অম্লজানবাম্পের স্তায় অঙ্গারামবাষ্পও বায়িত হইতেছে। অম্লজানবীয়ু জীবজগতের পক্ষে মেরুপ অতি প্রয়োজনীয় উদ্ভিজ্জ জীবনের পক্ষে অঙ্গরামবায়ু ও সেইরূপ । অতএব যদি অঙ্গরায় বাম্পের পরিমাণ প্রভূত পরিমাণে হ্রাস পায়, তাহা হইলে উদ্ভিদগণ বাচিতে পারে না ; আব উদ্ভিদ বিনষ্ট হইলে তাঁহার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের অম্লজান প্রাপ্তির একট মূল প্রস্রবণ রুদ্ধ হইয়া যাইবে । অতএব দ্বন্ধটা কঠিন সমস্ত আমাদের সমক্ষে উপস্থিত । অম্লজাসবায়ুর পরিমাণ বায়ুমণ্ডলে অব্যাহত রাখিতে হইলে উদ্ভিদজগতের অস্তিত্ব অপরিহার্য্য এবং উদ্ভিদজীবন রক্ষায় অঙ্গারামজান-বায়ুর প্রয়োজনীয়তা অনতিক্রমণীয়। , কিন্তু আমরা দেখিতেছি যে শাতায়মান পৃথিবীপৃষ্ঠে যে শক্তি অবিরত