৩৫শ বর্ষ প্রথম সংখ্য । স্বামী কাউন্ত দে বারাসি ঠুরের এক কত বড় বংশের— * অধ্যক্ষ চমকিয়া উঠিলেন । কাউন্ত দে বারসি! আশ্চর্য্য ! অসম্ভব ! তাহার সংশয় পড়িল--মনের ভাব চাপিয়া তিনি কহিগেন, “তবে এই অল্প বয়সেই ছেলেটিকে স্কুলে . }দচ্ছেন কেন ? এখনও নিতান্ত ছেলেমামুখ, তা ছাড়া আপনাকে ছেড়ে থাকতে পারে ন। সে। এ বিচ্ছেদ ওর সহ হবে কি ?” ' রমণী কহিল, "আপনি ভুল কচ্ছেন, মশায়! জ্যক এ দিকে তেমন অবুঝ নয় 8 তা ছাড়া গুর শরীর ভাল, অমখ-বিসুখ নাই বললেই হয় ! একটু রোগ1– তা এ পারি সঙ্গরের বদ্ধ বায়ুর্তে সেটা শোধরান অসম্ভব ?” অধ্যক্ষ কহিলেন, “আরো তা ছাড়া আমাদের বোর্ডিংএ এখন এত ছেলে রয়েছে যে, নুতন ' ছেলে নেওয়া সম্ভব নয় । আর বছর সুবিধা হতে পারে—কিন্তু তার জন্ত ও আমি এখন থেকে কথা দিয়ে রাখতে পারি না অবশ্য !" রমণ ইঙ্গিতটি অল্প বুঝিল। কহিল, "তা হলে আমার•ছেলেকে আপনার রাখবেন: না ! তার কারণ শুনতে পারি কি ?” অধ্যক্ষ বাহিরের দিকে একবার চাহলেন —পরে স্থির অকম্পিত কণ্ঠে কহিলেন, "দেখুন, কারণটা না বললেই ভাল হত—তবু খেন শুনতে,চাচ্ছেন, তখন বলতে পারি, কিন্তু না শুনলেই ভাল ছুয়, কারণ শুনলে আপনি কষ্ট পাবেন ছাড়া—” 影 রমণীর মুখ ক্ষোভে রোধে লাল হইয়া উঠিল!, মধ্যক্ষের মুখের দিকে সতেঁজে সে সাংগ . অধ্যক্ষ বলিতে লাগিলেন,—কথা- 輸 গুণ শুনিয়া রমণী একান্ত কাণ্ডুর হইয়৷ চয়ন—মাতৃঋণ । \ప్రిఫే পড়িল—লজ্জায় দুঃখে সে কাদিয়া ফেলিল । হতভাগিনী ! সত্যই সে হতভাগিনী ! কেহ জানে না; এই দুর্ভাগা পুত্রের জন্য সে কে দুঃশই না সহ করিয়াছে ! , সত্য ! এ কথা খুবহু সত্য ! সত্যই বালকের কোন পদবী নাই ! পিতা নাই,-- ছিল না ! কিন্তু এ কি তাহার পাপ ? পিতামাতার পাপের ভার মাথায় বড়িয়াসারা জীবন তাহদের পাপের প্রায়ুশ্চিত্ত করিয়া মরিবে, লে এমনই দুর্ভাগ্য ! রমণী কাদিয়া “মশায়, দন্ন করুন— বেচারাকে.একটু দয়া করুন! নিষ্ঠুর হবেন নী!” সে স্বরে কি গভীর নিরাশা, কি মৰ্ম্মভেদী অমুতাপ ! 尊 অধ্যক্ষ ব্যথিত চিষ্ট্ৰে কহিলেন, শাস্ত হন আপনি " | :° v কিন্তু কথাটা চাপ। কহিল, দিবার নহে ! অধ্যক্ষ জানিতেন, তুরের এই প্রসিদ্ধ প্রাচীন ংশ কি কলঙ্ক-কালিমায় লিপ্ত ! সে এক সুগভীর পাপের দীঘ ইতিহাস ! দে বার সি পরিবারের প্রতিবেশী এই অধ্যক্ষের সব কথা আজ নূতন করিয়া মনে পড়িয়াছিল । তিনি উপায় স্থির করিতে না পারিয়া অস্থির হইয়া উঠিতেছিধেনু ! 尊 রমণীকে সাম্ভন দেবার ও কোন কথা নাই ! তবু তিনি কছিলেন, "এ পাপের একমাত্র প্রায়শ্চিত্ত আছে ! ‘আপনি সস্তানের মাতা—গৃহটিকে পবিত্র করুন–জীবনের সমস্ত পঙ্কিলত ত্যাগ করে নুতন মানুষ হতে চেষ্ট৷ করুন— এ ছাড়া আর কি উপায় আছে ? কিছু না! কিছু না ! ছেলেকে মাহৰ করুন।”
পাতা:ভারতী ১৩১৮.djvu/৮৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।