পাতা:ভারতী ১৩১৮.djvu/৮৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৫৭ বর্ষ, নবম সংখ্যা । করিব ! একথা ভাবিতে তাহার অন্তরাত্মা সুচিত হইয়া গেল। ভাবের উত্তেজনায় কাৰ্য্যট আরম্ভ করিয়া ফেলিয়াছিল, সহস দেট বন্ধ করিয়া দিল । দেশের লোকে অবিল রেশমের দর কমিয়া যাওয়াতে বিশ্বেশ্বর cহার কুঠী নিৰ্ম্মাণকাৰ্য্য স্থগিদ রাখিল । তীয়তঃ সে ভাবিয়ছিল যে এদেশে এমন লোকে সংখ্যা খুব কম যারা নিঃসঙ্কোচে সাধাবণের চক্ষে ভিক্ষুক বলিয়া পরিচিত হইয়। লোকের সাহায্য গ্রহণ কবে । যাহার সে সঙ্কোচহীন, তাহারা ভেকধারী বৈষ্ণব । ধৰ্ম্মশীল বঙ্গের গৃহস্থদিগের কল্যাণে তাঙ্গাদের অভাব নাই । অনেক ভাবিয়া বিশ্বেশ্বর সে ইচ্ছা ত্যাগ করিয়াছিল । পশ্চিমে আসিয়া তথাকার সাধারণ অধিবাসীর দুৰ্দ্দশা দেখিয়া সে আএ সামলাইতে পারিল না। তাহার নিতান্ত ইচ্ছা হইল যে পশ্চিমে আসিয়া বাস করিয়া তাহার বহুদিনের সেই ইচ্ছা পূরণ করে। মাসিম কিন্তু একটু ক্ষোভের হাসির সহিত তাহার সে ইচ্ছায় বাধা দিতে লাগিলেন । তিনি স্থির বুদ্ধিতে বুঝিয়াছিলেন যে কুবেরের ভাণ্ডার নfহলে সেদেশের অভাব নিবারিত গুয়ন। বিশ্বেশ্বরের অজস্র দানে তিনি বাধা নিতেন না কিন্তু বাটী ফিরিবার জন্য তাড়া দিতে লাগিলেন। বুঝিলেন যে তাহার 17চলিস্তমস্তিষ্ক পুত্রটি অধিক দিন সে দেশে থাকলে আরও অপ্রকৃতিস্থ হইয়া উঠিবে। *াইকে রক্তসৰ্ব্বস্ব দেখিতে তিনি একেবারে ং ?ক নন ! মাগীর ব্যস্ততায় বিশ্বেশ্বর ”ঠা দেশে ফিরিবার উদ্যোগ করিতে “গিল। মালিমা ভাত লইয়া বসিয়া আছেন, অন্নপূর্ণার মন্দির । brö" বেলা দুইটা বাজিয়া গেল, তিনটা বাজে, বিশৃঙ্খল রুক্ষ মস্তকে, শ্রান্ত, ঘৰ্ম্মাক্তদেহে, সুর্য্যকিরণদগ্ধ মলিন মুখে বিশ্বেশ্বর ফিরিয়া আসিল । সরবৎ খাওয়াষ্টয়া, বাতাস করিয়া অনেক কষ্টে মাসিমা তাহাকে সুস্থ করিলেন। সে যে এতক্ষণ কি করিতেছিল বেশ বুঝতে পারিলেন। পচিশজন লোক খাইবে বলিয়া সে যখন মাসিমাকে রাধিতে অনুরোধ কfরত, মাসিমা তখন বুদ্ধি খাটাইয়। একশত জনের উদ্যোগ করিতেন, বিশ্বেশ্বর সে রন্ধনে আসিয়া যোগ দিত । জোল কাটিয়া বড় বড় ভাতের ডোল চাপাইয়া গামছা কোমরে বিশ্বেশ্বর মহানন্দে ছুটাছুটি করিয়া বেড়াইত, মাসিমা তরকারির ভার লইতেন । শেষে একশত জনের স্থলে দুই শতে মারামারি বাধিয়া যাইত । ভাণ্ডারের চাল বিলাহয় তখন ভিক্ষুকদলকে শাস্ত করিতে হইত। অত্যধিক পরিশ্রমে বিশ্বেশ্বরের শরীর কৃশ ও মলিন হইয়াছিল । দুই একবার জর ও হইল । মাসিমা তখন জোর করিয়া পোষ্ট্ৰল' পুটুলি সাধিয়া গাড়ীতে উঠিলেন। এক বৎসর পরে তাহার দেশে ফিরিয়া চলিলেন । ট্রেণের মধ্যেই মাসিমা একবার বিশ্বেশ্বরকে জানাইলেন "দেশে গিয়ে এক মাসের মধ্যেই তামার বিয়ে দেব, মনে থাকে যেন ।” বিশ্বেশ্বর একটু হাসিল। বিবাহের নামে সত্যই তাঙ্কার যেন একটা ভয় জন্মিয় গিয়াছিল । প্রথমে কি মনে করিয়া সে যে বিবাহু করিবে না সংকল্প করিয়াছিল তাহ বলা কঠিন, কিন্তু এখন সৈ সংকল্প যেন বৃহৎকায় অশ্বখ বৃক্ষের ষ্ঠায় বহু শাখা