مواني بوا প্রশাখা বিস্তার করিয়া অত্যন্ত বাড়িয়া উঠিয়াছে। ঝড়বাত্যাবৃষ্টি এখন সে সকলি উপেক্ষা করিতে পারে । সামান্ত কল্পনার অঙ্কুর এখন সুদৃঢ় পাষাণভেদী মূলে পরিণত হইয়াছে। প্রথমে যখন সে বিবাহ করিবন বলিয়াছিল সে সময়ের সম্বন্ধে এইমাত্র বলা যfষ্টতে পারে যে অবিরত শুষ্ক জ্ঞানচর্চাই তাহার কারণ। যদি তাহার মাতা ভগিনী বা স্নেহভালবাসার সম্পৰ্কীয় কেহ সে সময়ে থাকিত ত বোধ হয় এভাৰ জন্মতে পারিত না । মাসিম তখন নু গুন সংসারে আসিয়া কেবল কর্তব্যই পালন করিয়া যাইতেন, পবের ছেলেকে অত বেশী ঘনিষ্ঠ করিতে চাহিতেন না। কিন্তু এখন বৃদ্ধ বয়সে সে দর্প র্তাহার চূর্ণ হইয়াছে ; কেবল বিশ্বেশ্বরই নারীসঙ্গ অসহিষ্ণু হইয় গঠিত হইয় পড়িয়াছে। জ্ঞানচর্চার অবসরে সে যখন কাব্য ও সাহিত্য আলোচনা করিত তখন তাহার মধ্যে নারী জাতির প্রাধান্ত দেখিয়া অীবও ভীত হইয়া পড়িত। একজন সামান্ত বালিক বা নারী কিরূপে পুরুষের বিস্তৃত জীবনের সৰ্ব্বক্ষণসার্থকতার কেন্দ্র স্বরূপে প্রতিষ্ঠি হু হয় তাঙ্গা সে বুঝিয়া উঠিতে পারিত না ; অথচ দেথিত ইহাই কাব্য সাহিত্যের প্রাণ ; অতএব জগতেরও প্রাণ । কিরূপে এই মোঙ্কময় আত্মবিস্মৃতি হইতে রক্ষা পাইবে সেই চেষ্টায় সে সমস্ত প্রাণমন প্রয়োগ করিত । আপনাকে বিবাহিত কল্পনা করিয়া এক একবার মানস চক্ষে আপনার অবস্থা পৰ্য্যবেক্ষণ করিত। সমস্ত মুখ কল্পনা একটি বালিকার মুখে দুঃখে পর্যবসিত চিন্তার শেষ, কাব্যের শেষ, সেই একটী বালিকায় । সমস্ত আগ্রহ সমস্ত खांब्रडौ । পৌষ, ১৩১৮ মেং ভালবাসা, সৌন্দৰ্য্য সব সেই ক্ষুদ্র মুক্তিকে পর্য্যবসিত। এই কি মানুষের আকাঙ্ক্ষিত জীবন ? এই যদি মুখ শান্তি তৃপ্তি তবে দাসঃ কাহাকে বলে ! যখন সে গ্রামের নিকটে পৌছিল তখন সম্বn হইয়া গি1াছে। দূরে গ্রামের গুণমল রেখা মান চন্দ্রকিরণে চিত্রের স্তায় শোভা পাইতেছে। মাঠের চিরপরিচিত বায়ু সাদরে যেন তাহার চুলগুলা লইয়া নাড়িতে লাগিল, চিবুক ধবিয়া সস্নেহে যেন কুশল প্রশ্ন করিল। সহপা বিশ্বেশ্বরের চোখ দিয়া ঝর কর করিয়া জল ঝরিয়া পড়িল, মনে হইতেছিল যেন তাহাব শৈশবে অন্তর্কিতা জননী ঐ গ্রামের আমবুক্ষেব ছায়ায় দাড়াইয়া স্নেহ সজলচক্ষে প্রবাস হইতে আগত পুত্রকে সম্ভাষণ করিতেছেন। বিশ্বেখর ক্ষণেক দাড়াইল, যেন তীব্র আনন্দের প্রতিঘাত একটু সম্বরণ করিয়া লইতেছে ; সহসা পথের উপর নত হুইয়া মাটীতে ললাট স্পর্শ করিয়া সে কাহাকে প্রণাম করিল। মাসিম গোশকটে ছিলেন, নছিলে হয়ত পুত্রেব কাণ্ড দেখিয়া কাদিয়া উঠিতেন । বাট পৌছিয়া মাসিম আগে গরু গুলি দেখিতে গেলেন । পুরাতন ভূত্য ঘোষ এবং নিধের মা বাড়ী ঘর যথা সম্ভব পরিষ্কারই রাখিয়াছিল। তথাপি যে সব ঘর তালা দে ওয়া ছিল সে ঘরের মূৰ্ত্তি দেখিয়া মাসিম প্রবাসে যাওয়ার বিরুদ্ধে অনেক মন্তব্য প্রকাশ কfরলেন । তীর্থ হইতে যে সব তৈজস, বস্ত্র, ও প্রসাদ আদি আনি ছিলেন তাহ প্রতিবেশ বর্গকে বণ্টন করিবার ব্যগ্রন্স সম্প্রতি সধরণ করিয়া "উপোলী” ছেলের জন্ত রন্ধন চাপঠিয় দিলেন। ছেলে কিন্তু তখন পাড়াময় ঘুরি"
পাতা:ভারতী ১৩১৮.djvu/৮৮৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।