তু4শ বর্ষ, নবম সংখ্য। । , পড়াইতেছিল। কাহারও বাড়ীতে যাওয়া হার স্বভাববিরুদ্ধ কিন্তু অপ্ত এক একবার ইচ্ছাও হইতেছিল। পাছে কেহু কিছু নে করে বলিয়া ইচ্ছাটা প্রশমিত করিয়া একবার তাহtর কলাবাগানটা দেখিতে গেল, ক্ষীণচন্দ্র তখন অস্তে যাইতেছে, কলা বাগানের সবই অন্ধকার ; সম্পূহনয়নে একবার বৃক্ষgলার পানে চাহিয়া ফিরিয়া চলিল। গ্রামের প্রত্যেক বৃক্ষ প্রত্যেক গৃহ যেন কতই মুনীর বোধ হইতেছিল । রাস্তায় নাথু মণ্ডল, স্বাণ কলু, বিপিন বেনে প্রভৃতি তাহার নতস্ত অপরিচিত লোকগুলা যখন দাদাঠাকুর ববে এলে গো ? বলিয়। তাছাকে নমস্কার করিল তথন সে আনন্দে উৎফুল্ল "{চাদের সহিত অলিপি জুড়িয়া দিল । আজ যেন এ গ্রামের সীমান্ত লোকটর সঙ্গ ও নীয় বোধ হইতেছে। দক্ষিণ পাশ্বে ভট্টাচার্ধ্যের বাটী, অন্ধকারে কয়েকট। স্ত,পের মত দেখাইতেছে, বিশ্বেখর একটু থমকিয় দাড়াইল, ইচ্ছা হইল একবার ভট্টচার্য মশায় বলিষ্ট ডাকে, কিন্তু সহসা সেই f:বাহের প্রস্তাব মনে পড়ায় আর ডাকা হইল ন; ! একটু ভাবিতে ভাবিতে বিশ্বেশ্বর চলিতে আরম্ভ করিল। কিয়দ,রে উমেশ মুখোপাধ্যায়ের ঠৈক ঘর। রোয়াকে গৃহস্বামী স্বয়ং বসন্ম তামাকু টানিতেছেন ,বিশ্বেশ্বর একেবারে গিয়া সখানে উঠিল। গৃহস্বামী বলিলেন “কে ?” * মামি বিশ্বেশ্বর ।” “বিশ্বেশ্বর ? এসে বাবা, ব’সে ; পশ্চিম c কে কবে ফিরলে ? ভাল অtছ ত ?” বহুক্ষণ সেস্থানে গল্প করিয়া, গ্রামের ৭.নক তথ্য সংগ্ৰছ করিয়া অনেক রায়ে क्ल ट्रे झु! অন্নপূর্ণার মন্দির। kr\లిసి বিশ্বেশ্বর বাট ফিরিল । থালে করিয়া ভাত বাড়ির ঢাকা দিয়া মাসিম বসিয়া ঢুলিতেছিলেন, বিশ্বেশ্বর কথা না কহিয়া একেবারে আসনের উপর গিয়া বসিল । সচকিত হইয়া তিনি বকিতে লাগিলেন “দ্যাথদেখি, ভাত কটি জুড়িয়ে জল হয়ে গেল, আজ ছুদিন খাওয়া নেই- কোথায় দুটি খেয়ে একটু গিয়ে শোবে —ন। এখানে এসেও সেই স্বভাব ! ভোরে একটা যোগ আছে, নদীতে ডুবট দিতে যাব, তা কখন বা শোব, কথন বা সকালে উঠব— তোর যদি কোন কালেও”—মাসিম আরও বলিতেন কিন্তু পুত্রের বিষঃ নতমুখ দেখিয়া থামিয়া গেলেন। সোৎসুকে বলি লেন “এতক্ষণ কোথায় ছিলি ?” "উমেশ মুখুয্যের বৈঠকখানায়।” “তারা সব ভাল আছে ত ? পাড়ার সব ভাল ? গায়ের সবাই ভাল আছে ?” “সবারি খবর কি করে বলব। আমাদের রামশঙ্কর ভট চtয মারা গেছেন ।” মনস্তাপ পাই , মাসিম নীরব হইলেন। একবার মৃগুম্বরে বলিলেন “ আই বেটী!” তারপরে অনেক গুল আহ।’ মনে আসিতে লাগিল, তাই নীরব হইলেন। আবার একবার বলিলেন “যে মরে সেত জুড়োয়, মিনসে বিস্তু জুড়িয়েছে, আর সংসারের ভাবনা ভাবতে হবে না" বিশ্বেশ্বর নীরবেই রহিল। রাত্রে মাসিমা ভাল করিয়া ঘুমাইতে পারিলেন না, জাহ্নবীর শান্ত সহিষ্ণু মুষ্টিখানি কে বলি তাহার চক্ষের উপর আসিতেছিল । প্রত্যুষে উঠিয়া বস্ত্র ও গামছা লইয়া নদীতে স্নানার্থ গমন করিলেন। স্নান করিতেছিল; নদীতে অনেকেই মাসিমাতাকে দেখিয়া
পাতা:ভারতী ১৩১৮.djvu/৮৮৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।