৩৫শ বর্ষ, প্রথম সংখ্যা । কন্তু এই পৰিপুষ্ট বস্তুষ্ট ভি তব কার, প্লিবের নগে। মানুষ প্রতিনিয় তই বাহির হইতে খাদ্য সংগ্ৰহ করিতেছে। সে ফক্টभूनाहs आशब করিতেছে, পশুপক্ষীর মাংসাদিও ভক্ষণ করিতেছে । কিন্তু উদ্ভিদের বলে মানুষের রক্তমাংসই পরিপুষ্ট হয়, তার ভিত্তর হইতে অদ্ভুত উদ্ভিদত্ব ফুটয়া বাহির হয় না, আর পশুপক্ষীর মাংস ভোজনে মায়য কথনে বুধ ভস্থ বা ছাগছ বা হংসত্ব কি কুকুট । লাভ করে না । বহিব । হইতে যা কিছু খাদ্যদি আমরা গ্রহণ করি, সে সকলই আমাদের রক্তমাংসে পরিণত হইয়া যায়, যা রক্তমাংসা’দতে পারণ ত হয় না, তাহ মুরপূঃ ষাদিরূপে বর্জত ও বঙ্কিত হইয়া যায়। জাতীয় সভ্যতা বা সাধন সম্বন্ধে গু সেই কথা । এক জাতি অপর জাতির সংস্পর্শে অসিলে, তাহাধের মধ্যে ভাব ও চিন্তা, জ্ঞান ও রসের আদানপ্রদান অবগুম্ভাবী । এইরূপ আদান প্রদানেৰ দ্বারাই জগতের সভ্যতা ও সাধন যুগে-যুগে বিকশিত ও পরিপুষ্ট ইয়। আসিয়াছে । এরূপ আদান প্রদানে যে সমাজ বা যে জাতি রাজি হয় না, তার সভ্যতা ও সাধন ক্রমশঃ সংকীর্ণ ও হীনবল হক্টলেই হইবে । ব্যক্তিৰ পক্ষে দীর্ঘ কালব্যাপী অনশন যেরূপ বল ও আয়ুক্ষয়ের কারণ হয়, জাতির পক্ষে এই আদানপ্রদানে ব্যাঘাতদানও ঠিক সেইরূপে জাতীয় - শক্তির আয়ুক্ষয়ের ঙ্গেতু হুইয়া থাকে । জাতীয়তার নামে এইরূপ অনশনেৰ ব্যবস্থা করিলে চলিবে কেন ? কিন্তু আহারেব সার্থক তা যেমন পরিপাকে, থাৎ পবিপাকের সামর্থ্য যেমম জীবনী শক্তির উপর নির্ভর করে, সেইরূপ জাতীয় জীবনে ভারত ও বিলাত । এষ্টরূপ আদান প্রদানের সার্থকতাও আধ্যাত্মিক ও মানসিক পরিপাকে । এই পরিপাকের সামর্থ্য ও জাতির জীবনীশক্তির উপর নির্ভর করে। আর এই জীবনীশক্তি তার নিজস্ব বস্তু, ভিতর হইতে ইহাকে ফুটাই তোলা যায়, বাহির হইতে কথনে দেওয়া যায় না । যেমন আমি ফল থাই, মূল খাই, মাছ থষ্ট, মাংস খাই, যা কিছু থাই না কেন, তাতে আমার পেশী, আমার অস্থি, আমার মজ্জা, আমার স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য্যই ফটিয়া ওঠে ; এ সকলে আমার বিশেষত্বকে ফুটায়, কিন্তু নষ্ট করে না । সেক্টরূপ জাতীয় জীবনেব আদানপ্রদানেও জাতির সাধনার ও সভ্যতার বিশেষত্বটুকুই ফুটাইয়া তুলিবে, তাহাকে নষ্ট করিবে না । ༄། ྋ আর আমার সভ্যতা ও সাধনার একটা বিশেষত্ব আছে, আমি আব করে মত নই, অামাব জাতি ও অপর কোনো জাতির মত নহে ; আমি ছোট হই, বড় হুষ্ট,—আমি আমি, আমার ছোটত্ব, বড়ত্ব, ঘুত্ব, ভারিত্ব সকলই অামার, এই জ্ঞান জন্মিয়াছে বলিয়াই, তুমি আমাকে অসভ্য বা বৰ্ব্বর বলিলে আমার গায়ে লাগে না । আমি আমাকে জানিয়াছি, আমি আয়ুকে পাইয়াছি, নিজের পায়ের উপর দাড়াইয়াছি, আমার ভালো ও আমার মন, আমার বল ও আমার দুৰ্ব্বলতা, অামার আদর্শ ও আমার আয়ত্ত, উভয়ই আমার চক্ষে ফুটয় উঠিয়াছে বলিয়াই তোমার ওজনে আমি আর আমার নিজের মাপ করিতে চাই না। তাই বলিয়া যুরোপ যখন আমাকে বর্বর বলে, তাছাতে আমার লজ্জা হয় না, ক্রোধেরও সঞ্চার হয় না। সত্যু
পাতা:ভারতী ১৩১৮.djvu/৯৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।