পাতা:ভারতী ১৩১৮.djvu/৯৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७४५ १६, नप* अ९६] । ” वकिभबू*ब्र क५ ।। సెt বঙ্কিমযুগের কথা। ( 8 ) o বঙ্কিমচন্দ্র সম্বন্ধে একটা কথা শুনিতে পাই, দে তিনি প্রেতিনী দর্শন করিয়াছিলেন। ঞ্জস্থার জীবনী-লেখকও উপন্যাসের মত স্তরল ভাষায় এই ভৌতিক-কাহিনী বর্ণনা করিয়াছেন । এমন কি লেখক মহাশয়, ইছা ও লিখিয়াছেন সেই প্রেতিনী “শুভ্র বদনে সমাচ্ছাদিত ছিল।” আমরা অস্থসন্ধান লষ্টয়া জানিলাম, যে বঙ্কিমচন্দ্র জীবনে কখনও প্রেতিনী-দর্শন করেন নাই। তবে নাতি নাতিনীরা যখন গল্প শুনিবার জন্ত তাহাকে ধরিয়া বসিত, তখন দুই একটী কাল্পনিক ভূতের গল্প বলিতেন। এবং তাহার নায়ক হইতেন নিজে ! নাতিরা এখন বড় হইয়া সেই গল্প সত্য বলিয়া ধরিয়ু লইয়াছেন নাকি ! কাৰ্ত্তিক মাসের “সাহিত্যে” দেখিলাম, বরেণ্য আচার্য অক্ষয়চন্দ্র লিখিয়াছেন, বঙ্কিমচন্দ্র সাহসী ছিলেন ন—বরং “নার্ভাস” ছিলেন। কথাটা অনেকটা ঠিকৃ। বঙ্কিমচন্দ্র মধন মালদহে ডেপুটী ম্যাজিষ্ট্রেট ছিলেন, সেই সময়ে অকস্মাৎ তিনি মস্তিষ্ক-সংক্রান্ত পীড়ায় কাতর হন। সেই হইতেই এইরূপ দুৰ্ব্বলতার সুত্রপাত। 2 এমন কি, কেহ মই দিয়া উপরে উঠতে গেলেও তিনি ভয় পাইতেন। কুকুর কি গরু দেখিলেও তিনি " তাড়াতাড়ি শঙ্কিতভাবে লকণকে সাবধান করিতেন । হয় ত কোনদিন তিনি গাড়ীতে বসিয়া যাইতেছেন— গাড়ী যেমন মোড় ফিরিতে উষ্ঠভ ংহণ, তিনি ভয় ব্যাকুল হইয় পড়িলেন। মালদহ হইতে ফিরিয়া, এমনি সামান্ত সীমান্ত কারণে তাহাকে বড়ই বিচলিত হইতে দেখা যtষ্টত । কিন্তু আগে তিনি এরূপ ছিলেন না । পুর্ণবাবুর মুখে তাছার সাহসিকতার যে সকল কাহিনী শুনিয়াছি, এখানে তাহার দু একটা বলিলাম । সুন্দরবনে “পলর” নামে এক নদী আছে । বঙ্কিমচন্দ্র এবং স্বগীয় ইঞ্জিনীয়ার রামতারণ চট্টোপাধ্যায় একদা নেীকারোহণে উক্ত নদীবক্ষে বিচরণ করিতেছিলেন। হঠাৎ বঙ্কিমচন্দ্রের কি মনে হইল,--তিনি সেই নদী সাতার দিয়া পার হইতে গেলেন। নদীর মোহনার নিকটে এরূপ ইচ্ছা বড়ই ভয়ানক সুতরাং রামতারণবাবু তাঁহাকে নিষেধ করিলেন। বঙ্কিমচন্দ্র, সে নিষেধ কাণে তুলিলেন না। কেবল মাঝিকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “এখানে কোন ভয়ের কারণ আছে ?” মাঝি চিরকাল জলের উপরে কাল কাটায়—এরূপ দৃশ্বে সে অভ্যস্ত। সুতরাং সে বলিল “না বাৰু, ভয় আর কি ? বিনা বাক্যব্যয়ে বঙ্কিমচন্দ্র জলে ঝম্প প্রদান করিলেন । এবং সস্তরণ দিয়! অপর তটে গিয়া উঠিলেন। বঙ্কিমচন্দ্র যদি চিরকালই দুৰ্ব্বলচিত্ত হইতেন, তাহ হইলে অপরিচিত নদীবক্ষে এরূপ কার্য্যে কখনও সাহস প্রকাশ করিতেন না । দ্বিতীয় ঘটনা। হুগলীতে কাছারী বন্ধ করিয়া বঙ্কিমচন্দ্র যোড়ঘাটে গিয়া উপস্থিত হইলেন। আকাশ তখন অন্ধকার এবং .