እ8ሆ তবে বৌদ্ধগণ বেদবিরোধী হয় কেন ? চাৰ্ব্বাক্ বেদকর্তাদিগকে ভণ্ড ধুৰ্ত্ত-নিশাচর বলিবার কারণ কি? শঙ্কর এই সকল প্রশ্নের বিচারে প্রৱন্ত হইতেছেন না। বোধ হয় যেন তিনি অনিচ্ছুক। তিনি বলিতেছেন “জনসাধারণের জ্ঞান পরের অধীন” । বিনা বিচায়ে শ্রীতির স্বতঃসিদ্ধত্বাদি স্বীকার করাতে, র্তাহার নিজের প্রক্তি ও কি কতক পরিমাণে সে দোষ আরোপ হইতে পারে না ? শ্রীতি নিজেকে আপৗরুষেয় বা ,স্বতঃসিদ্ধ বলিতেছে এমন শ্রীতি প্রমাণে ও শঙ্কর উল্লেখ করিতেছেন না । ঋ:থদের ভাষ্য কার সায় নাচার্য্য তাহার ভায্যের ভূমিকায় বেদের স্বতঃসিদ্ধত্বের আলোচনা করিতে গিয়া বেদের ‘স্ব তঃ প্রামীণ্যের বিরুদ্ধে একটা মৃদর দৃষ্টাস্ক প্রদর্শন করিতেছেনঃ “অতি সুশিক্ষিত নট ও নিজের স্কন্ধে নিজে আরোহণ করিতে পারে না ।” শ্রীতির প্রামাণ্য বিচাব করিতে গেলেই তৰ্ক ৰ অনুমানের আশ্রয় গ্রহণ করিতে হয়। শ্রীতির পবিত্ৰক্ষেত্রে উদাম তর্ককে একবার প্রবেশ করিতে দিলে কি আর রক্ষা আছে ? তর্কের স্রোতে পড়িয়া মানব সমাজ কোন অপরিজ্ঞাত অন্ধকার গহবরে পতিত হইবে, কে বলিবে ? হয়ত বেদের প্রামীণ্যের বিচার করিতে গেলে বেদের প্রতি লোকের শ্রদ্ধার হ্রাল হইবে, হয়ত চাৰ্ব্বাকের সঙ্গে মিলিয়া সকলে সমস্বরে চীৎকার করিম উঠবে—‘ত্রয়ো বেদস্ত কৰ্বারঃ ভগু-ধূৰ্ব-নিশাচরা:”! বিচারে হয়ত বেদের প্রামাণ্য প্রতিষ্ঠিত করা অসাধ্য হইতে পারে ; তাহার ফলে ব্রাহ্মণ্য ধৰ্ম্ম সমূলে উন্মলিত হইয়া গিয়া, হৈতুক ক্টেছমত পুনঃ প্রতিষ্ঠিত হইবে, বা চাৰ্ব্বাকের ভারতী । 尊 মাখ, ১৩১৮ প্রান্তর্ভাবে বৈদিক ক্রিয়tকলাপ লুপ্ত হইয় যাইবে। “ন বুদ্ধি ভেদং জনয়েদজ্ঞান কৰ্ম্মসঙ্গিনাং” ‘অজ্ঞানী কৰ্ম্মাসক্তদিগের মনে ংশয় উৎপাদন করিবে না’ গীতার এই নিষেধবচন কোনরূপ সঙ্কীর্ণ অর্থে প্রযুক্ত না হইয়া সৰ্ব্বত্র প্রযোজ্য হইলে, তাহা সত্যের বিভীষিকাব্যঞ্জক, অথবা মানব প্রকৃতির এবং সত্যের প্রতি বিশ্বাসের অভাবব্যঞ্জক কি না পাঠক চিন্তা করিবেন। অপরদিকে শ্রুতির স্বতঃসিদ্ধত্ব বিষয়ে তর্ক উত্থাপন করিতে না দিলে পরিণামে “সের প্রমাণ লাঠির গুতো”ই দাড়ায় । আরিংটন, বলিয়াছিলেন—“তর্ক করা যদি ভাল হয় তবে তর্ক করিতেই হইবে, আর তর্ক করা যদি ভাল না হয় তবে ও তর্ক দ্বারাই তাহ প্রতিপন্ন করিতে হইবে । অতএব উভয়থ তর্ক করিতেই হইবে।” ইহা অতি গুঃখের বিষয় যে শঙ্কবের মতন সিদ্ধ-হস্ত তাকিক ও শ্রুতিব প্রামাণ্য বিষয়ক তর্কের বিভীষিক পরিত্যাগ করিয়া নিৰ্ম্মত্তভাবে বিচার দ্বারা বৌদ্ধ এবং চাৰ্ব্বা কমত থগুন করিয়া শ্রুতির স্বতঃসিদ্ধত্ব প্রতিষ্ঠিত করিতে পরায়ুপ হইয়াছেন। একথা সত্য যে 'তর্ক’ বলিতে আমরা সচরাচর জিগীষামূলক কুতর্কই বুঝিরা থাকি, স্তায় যাহাকে ‘বিতণ্ডা এবং ‘জয়’ নামে অভিহিত করিয়াছে। বস্তুত: সত্যাকুরাগ প্রণোদিত জিগীষাশুষ্ঠ তর্ক বা বিচার, দ্যায় যাহাকে ‘বাদ নামে অভিহিত করিয়াছে, তাছাই - আমাদের জীবনের পথ প্রদর্শক প্রদীপস্বরূপ। বিভীষিকা দর্শনে সেই বাদ কথার গতি রোধ করা আর মণিৰ जभां८छब्र औरुन थदांरु ८मां५ कब्रिध्नां शृश*
পাতা:ভারতী ১৩১৮.djvu/৯৯৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।