পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/১০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ぬ8 ভারতে অলিকসন্দর । এক বন্ধুসহ দারার মাতাকে দেখিতে গমন করেন। দারার জননী, বন্ধুকে, অলিকসন্দর ভ্রমে অবনত হইয়া অভিবাদন করিলে পর তিনি স্বীয় ভ্রম বুঝিতে পারিয়া লজ্জিত হন। অলিকসন্দর র্তাহাকে লজ্জিত হইতে দেখিয়া বলেন, “হিপাস্তিয়ান ও একজন অলিকসন্দার” অর্থাৎ বন্ধুর শরীর পৃথক হইলেও প্রাণ এক বলিয়। কথিত হইয়া থাকে। আলিকসন্দর দুর্দশাপন্ন দারার জননীকে “রাজ্ঞী” “জননী”ইত্যাদি শব্দে সম্বোধন করিয়া, এবং নিহত সন্ত্রাস্ত পারসীক যোদ্ধাগণকে সামরিক প্রথায় সমহিত করিয়া, যথেষ্ট মহত্বতার পরিচয় দিয়াছিলেন। খৃঃ পূঃ, ৩৩ অব্দের কাৰ্ত্তিকমাসে এই যুদ্ধ সংঘটিত হইয়াছিল। যুদ্ধে বিজয় লাভ করিয়া অদূরদর্শী সেনাপতির ন্যায় উৎসবে নিমগ্ন না থাকিয়া অলিক সন্দর সেনানী পাৰ্ম্মিনিওকে দামাস্কাস অভিমুখে প্রেরণ করেন। এ স্থানে দারার অধিকাংশ ধনসম্পত্তি এবং যুদ্ধোপষোগী দ্রব্য সকল রক্ষিত হইয়াছিল। পামিণিও অনায়াসে সেই সকল দ্রব্য হস্তগত করিয় রাজধনভাণ্ডার পরিপূর্ণ করেন। ইহার সহিত দারার নৰ্ত্তকী, পাচক প্রভৃতি এবং সন্ত্রান্ত কৰ্ম্মচারীদের পরিজন সকলএবং গ্রীস হইতে সমাগত দূত সকল ও র্তাহার হস্তে আপতিত হয় । অলিকসন্দর স্বয়ং সমুদ্রের তটস্থ ভূভাগ অধিকার করিয়া, মারাথস নামক স্থানে উপনীত হন। এ স্থানে দারারদূত র্তাহার কাছে আগমন করিয়া, স্বীয় প্রভুর জননী, পত্নী, প্রভূতির মুক্তি প্রার্থনা করিয়া পত্র এবং বক্তব্য নিবেদন করেন । পত্রে লিখিত হইয়াছিল যে, “অলিকসন্দারের উচিত র্তাহার মাতা, স্ত্রী ও সন্ততিগণের মুক্তি প্রদান করা, এজন্য সমস্ত মাসিদোনিয়ার যত