পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/১২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

〉>8 ভারতে অলিকসন্দর হাটু গুড়িয়া বসিতে দেখিয়াছ ? ইহার একটিও বহুত স্থচক কথা শুনিয়াছ ? ইহার মুকত্ব আমি দূর করিব। যদি কোন কথাও না বাহির হয়, তাহা হইলেও যন্ত্রনাস্থচক ধ্বনি, ইহার মুখ হইতে আমি বাহির করিব।” হোমার ভক্ত পাপ অলিকসন্দরের উপায় উদ্ভাবন করিতে বিলম্ব হইল না। তাহার পূৰ্ব্বপুরুষ এচিলিস, হেক্টরের দেহ রথে বাধিয়া যেরূপ ট্রয়ের চতুদিকে ভ্রমণ করিয়াছিলেন, সেইরূপ তিনি মহাপ্রাণ বেতিসের পদতলে কীলক বিদ্ধ করিয়া, তাহাতে রঞ্জু বদ্ধ করিয়া, রথে বাধিয়া দ্রুতবেগে অশ্ব সঞ্চালন করিয়৷ গাজা প্রদক্ষিণ করিয়াছিলেন । অলিকসন্দরের এই নিষ্ঠুরতা এচিলিয়সকেও অতিক্রমণ করিয়৷ ছিল ; শেষোক্ত হেক্টরের মৃতদেহ টানিয়াছিলেন, অলিকসন্দর জীবিত বোতসকে টানিয়া নিষ্ঠুরতার পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন করেন । অলিকসন্দর গজা পরাজয় করিয়া, অতি দ্রুতগতিতে মিশ্রদেশ অভিমুখে গমন করিতে লাগিলেন—এ দেশের পারসীক কৰ্ম্মচারীরা, গ্রেণিকস, ইসস্, তাইরি, গাজা প্রভৃতির পরিণাম কথা শুনিয়া, নিজেদের কৰ্ত্তব্য ভুলিয়া গেল, তাহারা ধনজন লইয়। অলিকসন্দরের সরণাপন্ন হইল। কুৰ্ত্তিয়স বলেন, দারার একট। কৰ্ম্মচারী ৮ শত ট্যালান্ট অর্থাৎ ২৯ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা প্রদান করিয়৷ অলিকসন্দরের প্রীতিভাজন হইতে চেষ্টা করে । সংসারে প্রায় দুই শ্রেণীর লোক দেখিতে পাওয়া যায়। এক শ্রেণীর লোক নিজেদের শোণিতপাত দেখিয়, ক্ৰোধোন্মত্ত হইয়। যুদ্ধ করিয়া থাকেন। অপরে, অপরের শোণিতপাত দেখিয়া ভয়বিহবল হইয়া রণস্থল, পরিত্যাগ করিয়া থাকেন । মিশ্রদেশের পারসীক কৰ্ম্মচারীরা, অপরের বিপদ দেখিয়া মুহ্যমান