পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/১৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অলিকসন্দরের উদ্বেগ শূন্যতা । >S్చరి হইয়া, তাহাদিগকে যুদ্ধ দুৰ্ম্মদ করিবার সম্ভাবনা খুব কম, তাই তিনি অন্ধকারের সাহায্যে চোরের মতন, চুরি করিয়া জয়লাভ করিতে ইচ্ছ কহন নাই। আবার প্রাতঃকাল হইল, স্বৰ্য্যদেবও আবায় আকাশে উদিত হইলেন । সমস্তজগৎ জাগরিত হইল, অলিকসন্দর এখনও নিদ্রিত ।—পারমিণিও রাজশিবিরে গমন করিয়া তাহাকে জাগরিত করিয়া বলিলেন ; পারসীকগণ যুদ্ধের জন্য অগ্রসর হইতেছে। আমাদের সৈন্যগণকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হইতে আজ্ঞা প্রদান করুন। আপনি আজ এত নিদ্র। যাইতেছেন কেন ? অলিকসন্দর হাসিয়া বলিলেন “আপনি আমাদিগকে সমরবিজয়ী বলিয়। অবগত হউন, আর আমাদিগকে, দেশ আলিকসন্দর, অতি প্রসন্ন চিত্তে সৈন্যগণ মধ্যে উপস্থিত হইলেন, তাহার আনন্দপূর্ণ মুখশ্ৰী দেখিয়া সৈন্যগণ মধ্যে এরূপ দৃঢ় ধারণা বদ্ধমূল হইল, যেন বিজয়শ্ৰী তাহদের করতলগত হইয়াছে। অলিকসন্দর র্তাহার সৈন্যগণকে নিম্নলিখিত পদ্ধতি অনুসারে যুদ্ধের জন্য সজ্জিত করিলেন । র্তাহার দক্ষিণ পক্ষের শেষভাগে তাহার সহচর অশ্বারোহীগণ আট ভাগে বিভক্ত হইয়া ফিলটের অধীনতায় অবস্থান করিল-পারমিণিও পুত্র নিকানর এবং ক্রিতিরস যথাক্রমে পাদাতিক সেনার দক্ষিণ ও বামভাগে অবস্থান করিলেন । বামভাগে থেসিলীয় এবং সম্মিলিত গ্রীক অশ্বারোহীগণ রক্ষিত হয়। অলিকুন্দর দক্ষিণ এবং পারমিণিও বামভাগে অবস্থান করিয়া সৈন্য পরিচালন