পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/১৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাসিদন অধিপের পরিণাম | ১৩৫ আপনার জীবন রক্ষা করিয়াছিল। বিশ্বস্ত কৰ্ম্মচারী, আপনার হস্তে কিরূপ পুরস্কার ও কৃতজ্ঞত প্রাপ্ত হয়, তাহ পারমিনিওর অদৃষ্টে বেশ প্রকাশ পাইতেছে।” এই কথা শুনিয়া অলিকসন্দর, জলন্ত অগ্নির ন্যায় প্রজ্বলিত হইয়া উঠিলেন, এবং তঁহাকে স্থান পরিত্যাগ করিবার আদেশ দিলেন। তাহার আদেশ প্রতিপালিত হইল–গমনকালে ক্লিতস বলিলেন, “যে সত্য কথা বলে, এরূপ স্বাধীনচেতাকে কোনরূপে ই ঠাহীর নিকট বসিতে দেওয়া উচিত হয় না, এখন বৰ্ব্বর ও কৃতদাসদের মধ্যে জীবন অতিবাহিত করাই তাহার পক্ষে যুক্তিযুক্ত। তাহারা, আপনার পারসীক কাটবন্ধন এবং সুন্দর পরিচ্ছদ দেখিয় প্রশংসাবাদ করিয়া কৃতকৃতার্থ হইবে।” এই কথা শুনিয়া অলিকসন্দর, প্রহার করিবার জন্য দও উত্তোলন করিলেন। পাশ্ববৰ্ত্তী লোকেরা, অলিকসন্দরকে ধরিয়া ফেলিল, এবং অপরে ক্লিতসকে ধরিয়া অপর গৃহে লইয়। গেল । মদ্যপানে উন্মত্ত ক্লিতস, পুনরায় অন্য দ্বার দিয়া আসিয়। আবার অলিকসন্দরকে অবমাননা করিতে লাগিলেন । তখন তিনি তাহার উদ্দেশে অস্ত্র নিক্ষেপ করিয়া বলিলেন, “যাও ফিলিপ ও পারমিনিওর সহিত মিলিত হওগে ।” অনেকেই অলিকসন্দরের এরূপ দুৰ্ব্ব্যবহারে বিরক্ত হইলেন । কেহ যে তাহাকে এ সময় গুপ্তভাবে হত্যাকরে নাই, ইহা তাহার শুভদৃষ্ট বলিতে হইবে । মেসিদনরা উৎপীড়িত হইলে, তাহাদের রাজাকেও দণ্ড দিতে আলস্য প্রকাশ করে না । অলিকসন্দরের ঠিক পূৰ্ব্ববর্তী, মেসিদনের আট জন রাজার মধ্যে, দুইজন স্বাভা বিক ভাবে মৃত্যু গ্রাসে পতিত হইয়াছিলেন। এক জন যুদ্ধক্ষেত্রে আর অপর পাঁচজন অকস্মাৎ ঘাতক হস্তে প্রাণ পরিত্যাগ করিয়া