পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/১৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> 88 ভারতে অলিকসন্দর। খিত হইয়াছে। এই দুর্গে এ দেশের নরপতি ব্যতীত অন্যান্য অনেক নৃপতি আশ্রয় গ্রহণ করিয়াছিল। এই চারু মীরপর্বত উচ্চতায় প্রায় ২০ এবং পরিধিতে প্রায় ৬০ ষ্টেড হইবে। এক জন লোকের গমনোপযোগী একমাত্র পথ, ইহার পাদদেশে প্রায় চতুর্দিক গভীর নদী বেষ্টিত হওয়াতে ইহার দুর্গমতাকে আরো অধিক পরিমাণে বৰ্দ্ধিত করিয়াছে । অলিকসন্দর ইহার দুর্গমতা দেখিয়া ইহাকে অধীনে আনয়ন করিবার জন্য ব্যগ্র হইয়া উঠিলেন—তিনি এই পৰ্ব্বতজাত বৃহৎ বৃহৎ দেবদারু বৃক্ষ সকল ছেদন করাইয়া, তাহার সাহায্যে এই নদীতে সেতু প্রস্তুত করিতে অরিন্ত করিলেন,একদল দিবাভাগে অপর দল রাত্রিকালে, কার্য্য করতে এই কাৰ্য্য দ্রুতবেগে অগ্রসর হইতে লাগিল। অলিকসন্দরের সেনাদল, এইরূপে অতিকষ্টে সেতু প্রস্তুত করিয়া পৰ্ব্বতের উপর উঠিয়া চারু-নীরবাসীকে আক্রমণ করিতে লাগিল। মাসিদনেরা,শক্রর আক্রমণ বোধ করিবারজন্ত,যে প্রাচীর প্রস্তুত করিয়াছিলেন, তাহার অন্তরালে অবস্থান করিয়া, তাহার তীর ছড়িতে লাগিল, শর দুর্গমধ্যে নিপতিত হওয়াতে, গ্রীকের বলেন, দুর্গবাসীরা তাহদের কোন অনিষ্ট করিতে না পারায়, ভয় বিহ্বল হইয়া, অলিকসন্দরের নিকট দূত প্ররণ করে। মেসিদনপতি, তাহাদের প্রাগন অনুসারে বালীকপতি অজয়রীকে তাহাদের কাছে প্রেরণ করেন। অজয়রথী, অবরুদ্ধ যোদ্ধাগণকে বলেন, অলিকসন্দরের বিজয়বাহিণীর কাছে ইহা কথনই অপরাজিত থাকিবেন!—ইহার রক্ষা ব্যর্থ হইয়। যাইবে ; এরূপ অবস্থায় তাহার সহিত মিলিত হইয়া অধীনতা স্বীকার করিলৈ সকল দিক রক্ষা পাইবে—তিনি বড় ভাল লোক ইত্যাদি