পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/১৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> 6.8 ভরতে অলিকসন্দর আমাদের পুস্কলাবতী # ও সিন্ধু অভিমুখে প্রেরণ করেন । তক্ষশীলার অধিশ্বর, পথ পরিদর্শকরূপে অবস্থান করিলেও, তাহার নিৰ্ব্বিবাদে অভীষ্ট স্থানে গমন করিতে সমর্থ হন নাই । এই সকল সৈন্য, কাবুল নদীর তটের উপর দিয়া, খাইবার গিরিবত্ম অতিক্রমণ করিলে, পুষ্কলাবতীর জনৈক নরপতি, এই “বৈদেশিকদিগের আগমন পথে বাধা প্রদান করেন । র্তাহার বীৰ্য্যবস্থা সম্বন্ধে এইটুকু বলিলেই যথেষ্ট হইবে যে, পূর্ণ এক মাস কাল তাহারা অলিকসন্দরের বিজয়বাহিনীর প্রতিকূলে দণ্ডায়মান হইতে সমর্থ হইয়াছিলেন। অবশেষে সেই স্থানের পতনের সহিত, তাহর পাঞ্চভৌতিক শরীর বিধ্বংস হইয়াছিল। ওীকেরা, এই বীরবরকে অস্তীশ ( হস্তীশ ) নামে অভিহিত করিয়াছেন । তাহার। আর একটী কথা লিখিয়াছেন যে, হস্তীবল সম্পন্ন হস্তীশের, একজন লোক, তাহার পতনের পূৰ্ব্বে তাহাকে পরিত্যাগ করিয়া, তক্ষশীলাপতির কাছে আগমন করিয়াছিল। এই লোক অলিকসন্দরের ক্ষম প্রাপ্ত হইয়া, অবশেষে পুষ্কলাবতীর নগরপাল নিযুক্ত হন। এখন সন্দেহ হয়, এই লোকটার বিশ্বাসঘাতকতায় কি হস্তীশের পতন হইয়াছে ? অলিকসন্দরের পিতা, সুবর্ণ সাহায্যে জয় করিতে পারিলে, কখন তরবারি কোষ মুক্ত করিতেন না—জানিনা ভারতের দ্বারে সেই নীতি কত দূর অবলম্বিত হইয়াছিল। পাঠক ! আপনার

  • * পুষ্কলাবত বা পঙ্কলাবতী ও তক্ষশীলা অতি প্রচীন নগরী, ভরত গন্ধৰ্ব্বদেশ জয় করিয়া ইহা স্থাপন করেন। পেশাওয়ারের নিকটবৰ্ত্তী বর্তমান চারসদ, প্রাচীন পুষ্কলালত বলিয়। বিবেচিত হয়। রাওলপিণ্ডীর নিকট কালাকিসরাই রেলওয়ে ষ্টেষণের নিকট সাহধেরির নিকটবৰ্ত্তী গ্রামসমুহ তক্ষশীলা। এ স্থানে ভূগর্ভ হইতে প্রাচীন মুদ্রা প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায় ।