পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/১৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বদেশদ্রোহীর সাহায্য । δ (2 (2 যদি এপ্রদেশে গমন করিয়া থাকেন, তাহা হইলে সে দেশের প্রকৃতিক অবস্থা একবার স্মরণ করুন। কিরূপ দুরারোহ পৰ্ব্বত সকল এ প্রদেশকে আচ্ছাদিত করিয়া রহিয়াছে—পুরুষের অল্প মাত্র প্রযত্নে প্রবল শক্রকেও কেমন বাধাপ্রদান করা যায় । স্বভাব দুর্গম পৰ্ব্বত সকল প্রতিকূলে দণ্ডায়মান হইলেও, স্বদেশদ্রোহীর দল, অলিকসন্দরের অনুকূল হওয়াতে, তিনি প্রায়” বিনাবাধায় ভারতবর্ষে প্রবেশ করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন । হি পাইস্তিয়ন, নানাপ্রকার ফলমূল পুষ্প শোভিত গান্ধীর দেশের উর্বর উপত্যক ভূমি অতিক্রমণ করিয়া;সিন্ধু নদের তটে উপস্থিত হইলেন । এস্থানে তিনি, অলিকসন্দরের উপদেশ অনুসারে সিন্ধু পার হইবার উপকরণ সংগ্ৰহ করিতে আরম্ভ করিলেন । অলিকসন্দর, অবশিষ্ট সহচরসৈন্য, ঢালী, অশ্বারোহী, ধনুদ্বারী, ভল্লধারী, প্রভৃতি নানাশ্রেণীর সৈন্য লইয়া—আসপপিয়ান, গৌরিয়ান এবং অশ্বকাণীর দেশ আক্রমণ করিবার জন্য অগ্রসর তইতে লাগিলেন। অধ্যবসায়ের অবতার অলিক সন্দর, যে পথ অবলম্বন করিয়া এই পাৰ্ব্বত্য প্রদেশ অতিক্রমণ করিয়াছিলেন, তাহু! এরূপ জটিল, ও দুর্গম, যে বৰ্ত্তমান কালে তাহা নিরূপণ করা দুরূহ ব্যাপার। যে কালে মানচিত্রের ব্যবহার, ও দিগ নিরুপণ যন্ত্রের আবিষ্কার হয় নাই ; সেইকালে এই পাৰ্ব্বত্য দুর্গম প্রদেশে প্রতিপদে শক্ৰকর্তৃক বাধা প্রাপ্ত হইয়া, দিগ নিরূপণ পূৰ্ব্বক গন্তব্য স্থানে উপস্থিত হওয়া বড় সামান্ত কথা মহে। বৰ্ত্তমান কালে এপ্রদেশ অপেক্ষাকৃত সুবিজ্ঞাত হইলেও অনেক সময় মানচিত্রের সাহােয্য=