পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/১৭৫

X ®8 ভারতে অলিকসন্দর করিতেছিলেন ; সেই সময় তিনি বিপক্ষের শরাঘাতে বীরলোকে গমন করেন । র্তাহার মৃত্যুতে নগরবাসী শোকে মুহ্যমান হইয়। উদ্যমবিহীন হইয়া পড়িল। র্তাহারা নায়কবিহীন হইয়া স্বাধীনতা সম্ভোগ সুখজনক নহে, বিবেচনা করিয়া ; অলিকসন্দরের নিকট দাসত্বপাশে আবদ্ধ হইৰার জন্য লোক প্রেরণ করেন। কষ্টের অবসান হইল মনে করিয়া,আলিক সন্দর, সাদরে এ প্রস্তাব গ্রহণ করিলেন । অলিকসন্দর মনে করিয়াছিলেন, যে সকল ভারতীয় যোদ্ধা স্বদেশবাসীর বিপদে বিপন্ন হইয়। যুদ্ধ করিতে আসিয়াছিলেন, তিনি র্তাহাদিগকে অর্থ দ্বারা হস্তগত করিয়৷ ভারতবাসীকে পরাজয় করিতে সমর্থ হইবেন । নগরবাসীর আত্ম প্রদানের প্রস্তাব শুনিয়া ; ভারতীয় যোদ্ধারা নগর পরিত্যাগ করিয়া গৃহাভিমুখে গমন করিবার জন্য, নিকটবৰ্ত্তী পৰ্ব্বতে রাত্রি যাপন করেন। অলিকসন্দর যখন বুঝিলেন, ধনলোভে এই সকল বীরপুরুষ, তাহার অধীনে অবস্থান করিয়া স্বদেশবাসীর হৃদয়ে তীক্ষুধার তরবারি প্রবেশ করাইতে অসম্মত হইতেছেন ; তখন তিনি তাহদের এই পাপের প্রায়শ্চিত্য স্বরূপ দণ্ডপ্রদান করিতে উদ্যত হইলেন। ডিওডোরস বলেন, সন্ধির প্রস্তাব অনুসারে অলিকসন্দর, সাহায্যাৰ্থ আগত বীরপুরুষগণকে সশস্ত্র নগর হইতে গমন করিতে সম্মতি প্রদান করিয়াছিলেন । ভারতীয়েরা যখন অকস্মাৎ রাত্রিকালে, অলিকসন্দর কর্তৃক আক্রান্ত হন ; তখন তাহারা উচ্চস্বরে অলিকসন্দরের উদ্দেশে বলিয়াছিলেন “যে দেবতার নামে শপথ গ্রহণ করিয়া, তুমি আমাদিগকে আক্রমণ করিবে না, এরূপ নিয়মে সম্মত হইয়াছিলে, সেই দেবতার।