পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/১৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৬৮
ভারতে অলিকসন্দর

নরনারীগণকে বন্দী করিয়া প্রবঞ্চকরূপে পরিণত হইয়াছেন। এ স্থানের ভয়াবহ যুদ্ধে, ও নগর অবরোধকালে মাসিদন পক্ষীয় মোটে পচিশজন লোক মৃত্যু মুখে পতিত হইয়াছিল!

 অলিকসন্দর,মশকবতী অধিকার করিয়া মনে করিয়াছিলেন, যে তাঁহার প্রচণ্ড নামের প্রভাবে, শত্রুগণ বিভীষিকাগ্রস্ত হইয়া তাঁহার চরণতলে শরণ লইবে, কিন্তু কার্য্যতঃ তাহা হয় নাই। সকলেই আপনার সাধ্য অনুসারে আপনাদের জন্মভূমি রক্ষা করিবার জন্য, প্রাণপণে চেষ্টা করিয়াছিলেন—সকলেই খড়্গপাণি হইয়া তাঁহার গতিরোধ করিবার জন্য দণ্ডায়মান হইয়াছিলেন। অলিকসন্দর, সেনানী কৈনসকে বাদিরা,[] এবং আতালস্, আলকিতাস, এবং দেমিত্রস্ নামক সেনানীত্রয়কে, অরা নামক স্থান, আক্রমণ করিতে প্রেরণ করেন। অরাবাসিরা শত্রুগণকে আগমন করিতে দেখিয়া আপনাদের প্রাচীর পরিবেষ্টিত নগর হইতে বহির্গত হইয়া, ঘোরতররূপে আক্রমণ করেন—মাসিদন সৈন্য আপনাদিগের পূর্ব্বার্জ্জিত সম্মান অক্ষুণ্ণ রাখিবার জন্য, ভীমবেগে ভারতবাসীকে আক্রমণ করেন। উভয়পক্ষে কিয়ৎক্ষণ যুদ্ধ হইলে পর, গ্রীক গ্রন্থকার বলেন, ভারতবাসীরা আপনাদের নগর মধ্যে গমন করিয়া যুদ্ধশ্রম দূর করেন। এই সকল পার্ব্বত্য ভারতবাসীরা, বিদেশী শত্রুর বিপক্ষে যুদ্ধে, নিকটবর্ত্তী রাজন্যবর্গের সাহায্য লাভ হইতে বঞ্চিত থাকিতেন না—অরাবাসী

  1. কেহ কেহ বাদিরাকে বর্ত্তমান বাজোর বলেন। কানিংহাম, কালপান বা কলিপাণি নদীর তটে বাজার নামক বৃহৎ গ্রামকে গ্রীক কথিত বাদিরা বলিয়া নির্দ্দেশ করিয়া থাকেন।