পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/১৮৪

মাসিদনদের নৈরাশু । 8 శ్రీ হইতে মাসিদনরা তীর প্রভূতি নিক্ষেপ করিতে লাগিল, বল বাহুল্য, ইস্থাতে উপরিস্থিত ভারতীয় যোদ্ধাদের, কিছুই অপকার হইল না । কিন্তু তাহীদের নিক্ষিপ্ত প্রস্তর ও অস্ত্র শস্ত্রের আঘাতে মাসীদনগণের সমুহ ক্ষতি হইতে লাগিল। অলিকসন্দর ইহাতে নিবৃত্ত হইবার পাত্র নহেন। তিনি র্তাহার ৩০ জন অতিসাহসী পার্ষদকে, পৰ্ব্বতে আরোহণ করিয়| আক্রমণ করিতে প্রেরণ করিলেন । ইহাদের সহিত অন্য মাসিদন যোদ্ধ ও গমন করিল, কিন্তু তাহারা ভারতীয় বীরের প্রবল আক্রমণে, কোনরূপে স্থির থাকিতে পারিল না—এই সকল মেসিদন বীরগণ ও অদ্ভুত পরাক্রম প্রকাশ করিয়া, একে একে নিজেদের শরীরের উপর পতিত হওয়াতে, যুদ্ধস্থল শব দেহে স্তুপীকৃত হইল। কেহ বা প্রস্তরাঘাতে আহত হইয়া দূরে নিক্ষিপ্ত হইল, কেহ বা নদীমধ্যে নিপতিত হইয়া দূরে প্রবাহিত হইল। যাহার এই স্থান হইতে দুরে অবস্থান করিতেছিল। তাহারা যোদ্ধাগণের এই শোচনীয় অবস্থা দেখিয়া অবসর হইয়া পড়িল । অবশেষে, নিজেদেরও ঐ রূপ পরিণাম আসন্নবৰ্ত্তী বিবেচনা করিয়া, উচ্চৈঃস্বরে রোদন করিতে আরম্ভ করিল। মাসিদন সৈন্তের মধ্যে, সে সময় এরূপ কেহই ছিলেন না ; যিনি এই সঙ্কট সময়ে অবসাদ গ্রস্ত হন নাই। ডিওডোরস বলেন, মেসিদনাধিপ যখন এই দুর্গম দুর্গ অধিকারের আশায় জলাঞ্জলিদিয়া বিমর্ষ হইয়া অবস্থান করিতে ছিলেন ; তাহার অপ্রতিহতু বীৰ্য্য, যখন ভারতীয় বীরগণের নিকট প্রতিহত হয় ; ভিনি যখন কিং কৰ্ত্তব্য বিমূঢ় হইয়া অবস্থান করিতে ছিলেন ; সেই সময়ে একজন দুরিদ্র বৃদ্ধ, পুত্রদ্বয়সহ তাহার নিকট আগমন করিয়া এই দুর্গে অধিরোহণ করিবার গুপ্ত পথ প্রদর্শন