পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>a ভারতে অলিকসন্দর করিয়াছিল । তাহারা ইচ্ছ। অনুসারে স্বামীর সহিত মিলিত হইতে সমর্থ হইত না । সময় সময় স্ত্রীলোকের পুরুষের ন্যায় পরিচ্ছদ পরিধান করিয়া সেনানিবাসে স্বামীর সহিত সাক্ষাৎ করিতে যাইত। পুত্র বীর্য্যবান হইবে এই অভিপ্রায়ে পিত ক্ষেত্রজ সন্তান উৎপাদন করাইয়া লইতে লজ্জিত হইত না । স্ত্রীলোকের পুরুষগণকে যুদ্ধ কালে উৎসাহিত করিত। “কাপুরুষের জননী” এই দুইটি কথ। অপেক্ষ। স্ত্রীলোকদের পক্ষে অন্য কোন কঠোর গালি স্পাটার অভিধানে কথিত হয় নাই। এক সময় একজন স্পাটান যুদ্ধ হইতে কাপুরুষের ন্যায় পলায়ন করিয়া আইসে । এই অপরাধে তাহার স্নেহময়ী জননী তাহাকে হত্য করিয়া বলেন “ইউরোতার জল গাধার পানের জন্য প্রবাহিত হয় না।” অপর এক সময় একটি বৃদ্ধের পাঁচটি পুত্র সমরক্ষেত্রে বীরশয্যা গ্রহণ করে । এই দুঃসংবাদ তাহার কোন পরিচিত প্রদান করিলে তিনি উৎকণ্ঠার সহিত জিজ্ঞাসা করিলেন “স্পাটার জয় হইয়াছে ত ? প্রত্যুত্তরে “হঁ৷” এই কথা শুনিয়া বৃদ্ধ বলিলেন “ভগবানকে তবে ধন্যবাদ দিন ।” সজেক্ষপে পাটার অভিজাতদিগের কথা কথিত হইল। ইহা ছাড়া তথায় পেরিইওসী ও হেলট নামক আরো দুই শ্রেণীর লোক ছিল। প্রথমোক্তেরা ব্যবসা বাণিজ্য লইয়া থাকিতগ নিজেদের গ্রাম শাসন করিবার ও অধিকার প্রাপ্ত হইত এবং স্পাটার শাসনকৰ্ত্তাকে কর প্রদান করিয়া জাতীয় ধনভাণ্ডার পরিপ্লরণ করিত। শেষোক্ত হেলট বা দাসের স্বীয় প্রভুর. জুন্ত কৃষিকাৰ্য্য আদি সমস্ত নিৰ্ব্বাহ করিত—ইহাদের অবস্থ৷ অত্যন্ত জঘন্য ছিল। ইহাদের প্রতি স্পাটানদের বিভিৰীকাগ্রদ