পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/২০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অসি হস্তে সাক্ষাং ! >>> শিষ্যের গুণের আদর করিতে কখনও পশ্চাদপদ হইতেন না। ইহাই তাহাদিগের বিশেষত্ব, তাই তাহারা যবনগণকেও আচার্য্য পদবীতে উন্নীত করিতে কিছুমাত্র সঙ্কোচ প্রকাশ করেন নাই । অলিকসন্দর, তক্ষশিলায় অবস্থান কালে পুরুর নিকট দূত প্রেরণ করিয়া, তাহাকে কর-প্রদান করিতে, এবং রাজ্যের সীমান্ত প্রদেশে আগমন করিয়া তাহার সহিত সাক্ষাৎ করিবার জন্য আদেশ করিয়া পাঠান। ক্ষত্র ধৰ্ম্মপরায়ণ মহাবাহু পুরু,দূতের মুখে অলিকসমদরের অভিপ্রায় শুনিয়া বলিয়া পাঠান যে সীমান্ত প্রদেশে তরবারী হস্তে তোমার প্রভু অলিকসন্দরের সহিত আমি সাক্ষাৎ করিব।” অলিকসন্দর, পুরুর গৰ্ব্বিত উত্তরে বিঘ্নিত হইলেন। মনে করিয়াছিলেন, পুরু, বিনা রক্তপাতে র্তাহার বঙ্গ্যতা স্বীকার করিবে, যখন তাহ হইল না, তখন তিনি পুরুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিবার জন্য প্রস্তুত হইলেন । পুরুর রাজ্য আক্রমণ করিতে হইলে, বিস্ততা নদী * উত্তীর্ণ হইতে হইবে – নদী পার হইতে শক্ৰ যাহাতে ন সমর্থ হয় ; পুরু সে বিষয়ে চেষ্ট৷ করিতে ক্রটি করিবে না ; এজন্য তিনি বিতস্তার নেীক সকল ধ্বংস, অথবা হস্তগত করিয়া রাখিয়াছেন, এইরূপ সন্দেহ করিয়া, অলিকসন্দর, সিন্ধুনদে তাহার যে সকল নৌকা ছিল, তাহার মধ্যে বড় নৌকা দুখানিকে তিন ভাগে, এবং ছোট

  • আমাদের ভারতীয় নাম বিদেশীর জড় জিহবায় কিরূপে উচ্চারিত হইয়াছে তাহা বিজ্ঞাতে কিছুমাত্ৰ বুঝিতে পারা যায়। ইহা কখন হাইডাস পেয, কথন যু বিডসপেস ইত্যাদি শব্দে উচ্চারিত হইয়াছে। মুসলমানদের সময় হইতে ইহা ঝিলাম নাথে কথিত হয় । পুরাড়ন ঝিলাম গ্রাম বর্তমান ঝিলামের অপর পারে আগে ইহার নীচে নদী প্রবাহিত হইত।