পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/২০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অলিকসন্দরের মায় । ృఫి(t উভয়পক্ষ পরম্পরকে শব্দে সম্মোহিত করিবার জন্য, পরম্পর শব্দ যুদ্ধে প্রবৃত্ত হইয়াছিল, কিন্তু পুকর সৈন্যের গজ্জনের সহিত হস্তীর বৃংহিত মিলিত হওয়াতে, তাহ মাসিদনদের হৃৎকম্প উপস্থিত করিল ( কখন বা নদী মধ্যস্থিত চরে, উভয়পক্ষের সৈন্যগণ ভল্লাদি সহ সস্তুরণ করিয়া তথায় উপস্থিত হইয়া যুদ্ধে প্রবৃত্ত হইত। এরূপ যুদ্ধে কতকগুলি অতি সাহসী মাসিদন সৈন্য, ভারতীয় হস্তে নিহত হয় ; যাহারা রক্ষা পাইল তাহার বিতস্তার প্রবলবেগ হইতে নিস্তার পাইল না। নদীগর্ভে তাহার নিমজ্জিত হইয়৷ মৎসাদির আহাৰ্য্যে পরিণত হইয়াছিল । এইরূপ ক্ষুদ্র যুদ্ধের পরিণাম দেখিয়া উভয় তটে অবস্থিত নৃপতিদ্বয়, ভাবী জয় পরাজয়ের কাল্পনিক চিত্র অঙ্কন করিয়া আনন্দিত ও দুঃখিত হইতেন । অলিকসন্দর, সরল উপায়ে কাৰ্য্যসিদ্ধি অসম্ভব বুঝিয়া মায়। অবলম্বনে প্রবৃত্ত হইলেন। তিনি এরূপ প্রকাশ করিলেন যে, শীতকালে বিতস্তার জল হ্ৰাস হইলে ; সেই সময় নদী পারে প্রবৃত্ত হইবেন, যাহতে শক্র তাহার কথার উপর বিশ্বাস স্থাপন করেন, সে জন্য তিনি দীর্ঘকালের উপযোগী খাদ্যদ্রব্য সংগ্ৰহ করিবার জষ্ঠ চতুদিকে লোক সকল প্রেরণ করেন । অপর "দিকে, বচল পরিমাণে চৰ্ম্মমধ্যে শুষ্কবাস পূর্ণ করিয়া সেলাই করিয়া, একপ্রকার ভেলা প্রস্তুত করিতে আজ্ঞা দিলেন— নৌকা সকল এদিকে ওদিকে পাঠাইয়।নদীপারের ভাণ করিয়া, শক্ৰগণকে ক্লান্ত করিতে লাগিলেন । নদী পার হইবার উদ্দেশে সমস্ত রাত্রি মশাল জালাইয়-সৈন্যগণকে নদীতটে শ্রেণীবদ্ধ করাইয়া, অলিকসন্দর, পুরুকে ব্যতিব্যস্ত করিয়া তুলিলেন— 4