পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/২১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“রাস্ত চুরী” Σ. δ ή চালিত ৫ সহস্র সৈন্য লইয়া অবস্থান করিলেন । অলিকসন্দর র্তাহাকে উপদেশ দিলেন যে, “পুরু তাহার সমস্ত সৈন্যসহ আমাকে আক্রমণ না করিলে, তিনি যেন কদাচ অপর পারে গমন না করেন। অথবা আমি বিজয়ী এবং পুরু পলায়ণ পর হইলে তিনি যেন নদী উত্তীর্ণ হন। নদী পার কালে হস্তীই ভয়ের কারণ ; পুরু যদি কতকগুলি হস্তীসহ সৈন্য রাখিয়| আমার সহিত যুদ্ধ করিতে গমন করেন ; তাহ হইলে ক্রিতিরস যে স্থানে আছেন, সেই স্থানেই থাকিবেন। আর যদি কেবল মাত্র সৈন্য রাখিয়া গমন করেন ; তাহ হইলে তিনি অনতিবিলম্বে নদী পার হইয়া শ ক্রর পশ্চাদভাগ আক্রমণ করেন। চর ভূমি ও প্রধান শিবিরের মধ্যবৰ্ত্তী স্থানে, মিলোগার—আতালস ও গরজিস, নামক সেনানী-ত্রয়ের অধীনতায় পদাতিক ও অশ্বারোহী সৈন্য প্রদান করিয়া তাহাদিগকে বলিলেন, যে সময় তাহার সহিত শত্রু সৈন্যের যুদ্ধ আরম্ভ হইবে, সেই সময় যেন তাহারা নদী উত্তীর্ণ হন। অলিকসন্দর স্বয়ং র্তাহার সহচর সৈন্য এবং হিপাইস্তিয়ন-পাদিক। —দেমিত্রস পরিচালিত সৈন্যগণসহ শকবহিলক, প্রভৃতি দেশীয় পদাতিক ও আধারোহী সৈন্য লইয়া, অতি গোপনে চর ভূমির কাছে উপস্থিত হন । এই ভয়ঙ্কর রাত্রে জল ঝড় বজাঘাত হইয়া, ইহার ভাষণতাকে অধিকতর বৃদ্ধি করিয়া অলিকসন্দরের “রাস্ত চুরীর” কার্য্যে সহায়ত সম্পাদন করিয়াছিল। লুক্কায়িত নৌক সকল, জঙ্গল হইতে বাহির করিয়া অগনিয়া সৈন্য সকল পরপারে যাইবার উদ্যোগ করিতে লাগিল -মেঘের গভীর গর্জনে এবং মুষলধারে বৃষ্টিপাতজনিত শব্দে, সৈন্যগণের অস্ত্রের ঝন ঝন শব্দ এবং*চালকগণের