পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/২১২

পৃথিবীর রথ চক্রগ্রাস । Sఫిమ আগমন করিয়াছেন, নিকটে যত অশ্বারোহী সৈন্ত পাইলেন তাহাই লইয়া তিনি শক্রগণকে আক্রমণ করিলেন ; উভয় পক্ষে ঘোর যুদ্ধ হইল—পূৰ্ব্ব রাত্রের বৃষ্টিতে ভূমি পঙ্কিল হইয়াছিল, রথ সকল তাহার উপর দিয়া গমনাগমন করাতে পৃথিবী যেন রথচক্র গ্রাস করিয়া ফেলিলেন ; রথ অকৰ্ম্মণ্য হওয়াতে শক্রগণ প্রবল হইয়া পড়িল—পুরুর পুল, সকলের অগ্রবর্তী হইয়া সৈন্যগণকে পরিচালনা করিয়া, মসিদনগণকে, ভারতীয় শৌর্য্যের পরিচয় প্রদান করিতে লাগিলেন । এইরূপে যুদ্ধকালে তিনি শক্রহস্তে সাংঘাতিকরূপে আহত হইয়া শূরলোকে গমন করেন— এই অল্পকালের যুদ্ধে ৪ শত ভারতীয় বীর স্বদেশের স্বাধীনত রক্ষা করিবার জন্য রাজপুত্রের অনুগমন করিয়াছিলেন। পুরু প্রথমে মনে করিয়াছিলেন, অভীসারের অধিশ্বর তাহার সাহায্যের জন সৈন্যগণসহ আগমন করিতেছেন, কিন্তু যখন একে একে হতাবশিষ্ট অশ্বারোহীগণ উপস্থিত হইয়া অলিকসন্দরের আগমন,—ভয়ঙ্কর যুদ্ধে রাজকুমারের শৌর্য্য প্রদর্শনপূৰ্ব্বক স্বর্গলোক গমন, ইত্যাদি কথা নিবেদন করিল, তখন র্তাহার ভ্রম দূর হইল। বীরন্থদয় পুরু, পুত্রের মৃত্যু কথা শ্রবণ করিয়া বিচলিত না হইয়া, শক্রর সম্মুখীন হইবার জন্য প্রস্তুত হইলেন। মহাবীর পুরু, শক্রর অকস্মাৎ আগমনে বুদ্ধিহারা না হইয়া, অপর পার হইতে শক্ৰ যাহাতে আগমন করিতে না পারে, সেই অভিপ্রাষুে কতকগুলি হস্তী, পদাতিক এবং অশ্বারোহী রাখিয়া দিয়া, অবশিষ্ট সমস্ত সৈন্য লইয়া, স্বদেশের স্বাধীনতা রক্ষা করিবার জন্য অলিকসন্দরের উদ্দেশে যাত্রা করেন। গমনকালে যে স্থান সুপ্রস্ত কদমহীন এবং কঠিন বলিয়া বোধ