পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/২১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sa o o ভারতে অলিকসন্দর করিলেন, তথায় ব্যুহ রচনা করিয়া শক্র আক্রমণ জন্য অপেক্ষা করিলেন। সম্মুখভাগে দুহশত হস্তী শ্রেণীবদ্ধ করিয়া রাখিলেন— ইহাদের সম্মুখে গুরুভার বর্মধারী পদাতিক সকল অবস্থান করিল—হস্তীর উভয় পাশ্বে তিন শত রথ এবং ৪ হাজার অশ্বারোহী আর সর্ব পশ্চাতে ৩০ হাজার পদাতিক সৈন্য অবস্থান করিয়া মেসিদনদিগের হৃদয়ে বিভীষিক উৎপাদন করিলেন । এই হস্তী সৈন্য কৰ্ত্ত ক সুরক্ষিত পদাতিক সৈন্য যেন অটল আচলের ন্যায় পরিদৃষ্ট হইল। রথগুলিও যেন সচক্র ক্ষুদ্রদুর্গ, এই রথ, ছয় জন অশ্বারোহীকে বহন করিয়া, যখন ঘূর্ণি বায়ুর ন্যায় শক্রগণ মধ্যে প্রবাহিত হয়, সে সময় ইহার বেগ সহ করা বড় সামান্য কথা নহে। ইহার ছয়জন আরোহীর মধ্যে দুইজন ধাতুস্ক, শত্রুসৈন্ত মধ্যে নিশিত শর নিক্ষেপ করিয়া তাহাদিগকে উদ্বেজিত করিয়া থাকে, দুইজন লোক ঢালের সাহায্যে ইহঁাদিগকে বিপক্ষ আক্রমণ হইতে রক্ষা করিয়া থাকেন, আর দুইজন সারথীর কাৰ্য্যে নিযুক্ত থাকিয় অশ্ব পরিচালনা করিয়া থাকেন। যখন রথ, শক্রগণের অত্যন্ত নিকটবৰ্ত্তী হয়, তখন অশ্বচালনার প্রয়োজন হয় না, সে সময় সারথীদ্বয় অশ্বরশ্মি পরিত্যাগ করিয়া শক্রগণের উপর মুষল প্রাস প্রভৃতি অস্ত্রশস্ত্র প্রহার করিয়া থাকে। বিদেশী গ্রন্থকারের বলেন, পুরুর ' সেনাদলের সর্বাগ্রে শক্র নিমুদন মহাবীরের (হরিকুলেশের ) আকৃতিঅঙ্কিতপতাকা শোভিত হইতেছিল । মহাসংগ্রামে ও ইহ পরিত্যাগ করিয়া যাওয়া অত্যন্ত গহনীয় বলিয়া বিবেচিত হইত। তাই তৃারতীয় বীরগণ প্রাণপণ করিয়াও তাহ রক্ষা করিত। অত্যুন্নত শরীর মহাবীর পুরু, প্রকাগুকায় হস্তীর উপর