পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/২১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২০২ ভারতে অলিকসন্দর । _: ========= কে শক্রসহ ঘোরতর যুদ্ধেপ্রবৃত্ত দেখিয়া, কৈনস আর বিলম্ব না করিয়া প্রচণ্ড পরাক্রমে বামভাগ, আর পদাতিকগণ বিপুলবিক্রমে পুরুরসৈন্তের মধ্যভাগ আক্রমণ করিলেন । এই আক্রমণে, পুরুর সৈন্তসকল বিভিন্ন হইয়া পড়িল,—সেই অবকাশে অলিকসন্দরের সৈন্ত, যে,যে স্থানে অবকাশ প্রাপ্ত হইলেন, সে সেই স্থানে প্রবেশ করিয়া ঘোরতর যুদ্ধে প্রবৃত্ত হইলেন । পুরুর সৈন্য মধ্যে যে ঈষৎ চঞ্চলত লক্ষিত হইয়াছিল ; তাহ তাহাদিগের মৃত্যুভয় জনিত, অথবা তাহাদিগের বীরত্বের হীনতাবশতঃ উৎপন্ন হয় নাই। গ্রীক গ্রন্থকারের বলেন, পুরুর হস্তী সকলকে, অলিকসন্দরের দ্রুতগামী অশ্ব সকল আক্রমণ করাতে, আর ধনুধারীগণ ক্ষিপ্রকারিতা সহকারে তাহাদিগের ধনুকে জ্য। আরোপন করিতে সমর্থ না হওয়াতে, ভারতীয় সৈন্যগণ মধ্যে চঞ্চলত পরিলক্ষিত হইয়াছিল । আমাদের ধানুষ্কগণ ভূমিতে ধনুক স্থাপন করিয়া জ্য যোজনা করিত, দুর্ভাগ্য বশতঃ বৃষ্টির জন্য ভূমি অত্যন্ত পিচ্ছিল হওয়াতে, তাহারা ধনুকে গুণযোগ করিতে শীঘ্ৰ কৃতকাৰ্য্য হইতে পারে নাই। মাসিদনেরা, ভারতীয় শর শক্রর হৃদয়বিদারণে কিরূপ সমৰ্থ,তাহ তাহারা অনুভূত করিয়া সাক্ষ্য প্রদান করিয়াছেন । র্তাহারা বলেন শক্রর সুদৃঢ় হৃদয়াবরণ এই শরের গতিরোধ করিতে সমর্থ হয় না, ইহার আঘাত এরূপ দারুণ, ও এরূপ সাংঘাতিক, যে ইহাতে আহত হইলে, মানুষকে যমপুরীর দ্বারদেশ অতিক্রণ করিতে হইয়া থাকে। দুর্ভাগ্য বসতঃ যুদ্ধের প্রাক্কালে, শক্র বিনিপাতন শর সকল, বিশেষ কাৰ্য্যকর হয় নাই। মহাবীর পুরু, তাহার সৰ্ব্বোন্ধত হস্তীপৃষ্ঠ হইতে যখন দেখিলেন, সৈন্যগণ মধ্যে