পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/২১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মসিদনের পলায়ন । R 0 ల কিঞ্চিৎ চঞ্চলতা আর্বিভূত হইয়াছে ; তখন তিনিঘোরতর বিক্রমে শত্রুসৈন্তের অভিমুখে ধাবিত হইলেন ; এখন যুদ্ধস্থল ভীষণ হইতে ভীষণতর হইয়া উঠিল। হস্তী সকল যখন, শক্রগণকে কখন পদদলিত, কখন শুণ্ড সহযোগে উৰ্দ্ধে উত্তোলন করিয়া নিপীড়ন করিতে লাগিল, তখন শক্ৰগণ হৃদয়ে ঘোরতর নৈরাশ্য আসিয়া তাহাদিগকে অভিভূত করিয়া ফেলিল,—তখন বিজয় আশায় জলাঞ্জলি দিয় তাহারা পলায়ণে প্রবৃত্ত হইল। যখন তাহার বুঝিল, এই শক্রর মহাদেশ হইতে প্রাণ লইয়া পলায়ণকর সম্পূর্ণ অবস্তব, তখন তাহার কোনরূপে হৃদয় স্থীর করিয়া, পুরুসৈন্য আক্রমণ করিতে অগ্রসর হইল। ইতিপূৰ্ব্বে শত্রুরআক্রমণে, পুরুর সৈন্যদল বিচ্ছিন্ন হইয়। পড়িয়াছিল, তাহাদিগের মধ্যে কেহ মনে করিল একত্র হইয়। যুদ্ধ করিব, কেহ বা পৃথকভাবে, কেহব শক্ৰ আক্রমণ করিলে যুদ্ধ করিব, কেহ বা শক্রর পশ্চাদভাগে গমন করিয়া তাহাদিগকে আক্রমণ পূর্বক বিভীষিকাগ্রস্তু করিতে সঙ্কল্প করিল। এইরূপ নায়কগণ, বিভিন্ন মতাবলম্বী হইয়া দুৰ্ব্বল হইয়া পড়িলেন—পুরুর আদেশ তাহারা সম্যক প্রকারে অবগত হইতে পারিলেন না –সুতরাং সকলে যুগপৎ শক্রগণকে আক্রমণ কুরিয়া বিজয়লক্ষ্মীকে অন্ধগত করিতে সমর্থ হইলেন না । সমস্ত সৈন্যের সাহায্য না পাইলেও; মহাবাহু পুরু, তাহার দেহের অনুরূপ সাহস লইয়া, শত্রুসৈন্য মন্থন করিতে প্রবৃত্ত হইলেন । মাসিদনীয় যোদ্ধাগণ পশ্চাদপদ হইলেও পুর্ব বীৰ্য্য স্মরণ করিয়া, মৃত্যুর কথা ভুলির গিয়া, আবার ভীমপরাক্রমে পুরুসৈন্যকে আক্রমণ করিল। ভীমকায় ভারতীয় হস্তীর ভীষণ, গর্জনে, ও তাহাদিগের নিদারুণ গুণ্ডাঘাতে, অলিকসন্দরের • অশ্বারোহীগণ