পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/২১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতে অলিকসন্দর و ان يه: র্তাহার নিকটবৃত্তী হইতে সাহসী হয় নাই। যখন নবধারায় শরীর হইতে অতিমাত্র শোণিত নিস্থত হওয়াতে তিনি দুৰ্ব্বল হইয়া পড়িলেন, যখন চেতন তাহার শারীরিক দুঃখে অভিভূত হইয় পড়ে, তখন হস্তী চালক, সংগ্রাম স্থলে আর অবস্থান করা অবিবেচনার কার্য্য বিবেচনা করিয়া, স্বীয় প্রভুকে রক্ষা করিবার জন্য, যুদ্ধস্থল পরিত্যাগ করিয়া গমন করেন। অলিকসন্দর, পুরুকে হস্তগত করিবার জন্য দ্রুতবেগে অনুসরণ করিলেন. কিন্তু তাহার ঘোটক, অত্যন্ত ক্ষতবিক্ষত হওয়াতে গমনকালে ভূপতিত হইয়। পঞ্চস্থ লাভ করে। অলিকসন্দর, তক্ষশিলার ভ্রাতাকে, পুরুর উদ্দেশে প্রেরণ করিয়া বলিয়া পাঠাইলেন, তিনি যেন স্বাধীনতা রক্ষার জন্য আর যুদ্ধ না করিয়া বশ্যতা স্বীকার করেন। তক্ষশিলার ভ্ৰাত, মহাবাহু পুরুর নিকট উপস্থিত হইয়া কথোপকথনে প্রবৃত্ত হইলে—পুরু, তাহার এই সুপরিচিত স্বর, কোন কণ্ঠ হইতে বহিৰ্গত হইতেছে, তাহা বুঝিতে পারিয়৷ বলিলেন, “ইহার ভ্রাতা, তক্ষশিলা-রাজ্য ও সিংহাসন বৈদেশিকদিগের চরণতলে অর্পণ " করিয়াছে”, এই বলিয়৷ সেই শিথিল বাহু পুরু, তাহার পাশ্বস্থিত অস্ত্র, তাহার উদ্দেশে নিক্ষেপ করিলে, গ্রীক গ্রন্থকারেরা বলেন, তক্ষশিলার ভ্রাতা যদি সরিয়া ন যাইতেন, তাহা হইলে তাহার , হৃদয় ভেদ করিয়া সেই ভীষণ অস্ত্র বহির্গত হইত। পুরু যখন দেখিলেন, তাহার ন্যায় তাহার হস্তীও অবসন্ন হইয়া পড়িয়াছে, এরূপ অবস্থায় কোন নিরাপদ স্থানে পৌছান দুরূ ব্যাপার।তখন তিনি গমনে প্রবৃত্ত না হইয়া, অবশিষ্ট সৈন্য লইয়া বীরলোকে গমন করিবার জন্য প্রস্তুত হইলেন। নিৰ্ব্বানোমুখ প্রদীপ যেরূপ দীপ্তিপ্রকাশ করিয়া নিৰ্ব্বাণ লাভ করে; সেইরূপ মহাভাগ