পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/২২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতে অলিকসন্দর । نواده به আহত হইয়া, পুরুর হস্তী মৃত্যুমুখে পতিত হইলে পর, অলিকসন্দর, পুরুর মুচ্ছিত শরীর হস্তগত করিতে সমর্থ হইলেন। অলিক সন্দর, পুরুকে হস্তগত করিয়া, তাহার শরীর ও মুখ শ্ৰী দেখিয়া মুগ্ধ হইয়া, মূস্থ অবসানের পর জিজ্ঞাস। করিলেন, “আপনি আমায় কাছে কিরূপ ব্যবহার প্রত্যাশ। করেন।” তেজম্বি পুক, দৰ্পের সহিত বলিলেন, “অলিকসন্দর । রাজার যোগ্য ব্যবহার করুন।” উত্তরে অলিকসদর প্র লন্ন হইয়। বলিলেন, “আমি আপনার সহিত সেইরূপ ব্যবহার করিব, কিন্তু আপনি আমার কাছে আর কি আকাঙ্ক্ষ করেন তাহা বলুন ?” পুরু প্রত্যুত্তরে বলিলেন, আমার উত্তরে সমস্তই ব্যক্ত হইয়াছে। অলিকসন্দর, পুরুর বৰ্ত্তমান অবস্থাতেও তাহার বীরত্ব, হৃদয়ের দৃঢ়তা দেখিয়া বিক্ষিত হইলেন । এবং র্তাহাকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করিয়া স্বীয় মহত্ত্বের ও বুদ্ধিমত্তার পরিচয় প্রদান করিলেন। ৩২৬ খৃঃ পুঃ আষাড় মাষের শেষ ভাগে, পুরুর সহিত অলিকসন্দরের এই ঘোরতর যুদ্ধ সংঘটিত হইয়াছিল। ডিওডোরস বলেন, এই ঘোরতর সংগ্রামে ১২হাজার ভারতবাসী নিহত এবং ৯ হাজার বন্দী হইয়াছিল । অপর পক্ষে ২৮০ অশ্বারোহী এৰং nশত পদাতিক নিহত হইয়াছিল। প্লটার্ক বলেন, আট ঘণ্টা ধরিয়া এই ঘোরতর যুদ্ধ হইয়াছিল। অলিকসন্দর, তাহার এই অসাধারণ বিজয়কে স্মরণীয় করিবার জন্য দুইটি নগর নিৰ্ম্মাণ করেন। যুদ্ধস্থলে যে নগর প্রতিষ্ঠা করেন তাহার নাম নিকাইয়া, (Nikaia) অপরটি তাহার ঘোটকের নামাকুসারে বুকাফেলিয়। নামে অভিহিত করেন ।