পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/২২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অামাদের শাসনপ্রণালী । 、〉ペ) সুবর্ণমুকুট ও অর্থ দিয়া সম্মানিত করিয়াছিলেন। মহাবাহুপুরু আরোগ্য লাভ করিলে, অলিকসন্দরের নিকট হইতে, তাহার পূৰ্ব্বরাজ্য ব্যতীত আরো অনেক প্রদেশ প্রাপ্ত হইয়াছিলেন । অতীসারের অধিশ্বর স্বয়ং আগমন না করিয়া কিছু উপহার প্রেরণ করিয়া অলিকসন্দরের বগু্যতা স্বীকার করিয়াছিলেন। অলিকসন্দর, অভীসার পতিকে তাহার কাছে স-শশীরে আগমন করিতে আদেশ করিয়া পাঠান, আদেশপালিত না হইলে, তিনি স্বয়ং গমন করিয়া তাহার সহিত সাক্ষাৎ করিবেন, বলিয়া ভয় দেখান, আমরা জানিনা পাৰ্ব্বতীয় প্রদেশের অধীশ্বর অভীসার, ঘবন পতি আলিক সন্দরের আজ্ঞা কতদূর প্রতিপালন করিয়া ছিলেন । অলিকসন্দর, পুরুর রাজ্যে একমাস কাল অবস্থান করিয়াছিলেন । পুরুর রাজ্যশাসন প্রণালী, প্রজা সকল সমৃদ্ধিসম্পন্ন, এবং সুখে সময় অতিবাহিত করিতেছে, দেখিয় তাহারা মুগ্ধ হইয়াছিলেন । আমাদের শাসনপ্রণালী, যবনদের শাসনপ্রণালী অপেক্ষা অনেক অংশে শ্রেষ্ঠ হইলে ও আমরা কিন্তু তাহাদের কাছে “বৰ্ব্বর” আখ্যায় অভিহিত হইয়াছি । • পুরুপরাজিত হইলেও, অথবা শত শত ব্যক্তি স্বাধীনতা রক্ষা করিবার জন্য প্রাণ পরিত্যাগ করিলেও, পুরুর রাজ্যের পাশ্ববৰ্ত্তী রাজন্তবর্গ, অলিক সন্দরের আক্রমণ ভয়ে বিভীষিকাগ্রস্ত হইলেন না ; তাহারা সকলে আপনার সামর্থ অনুসারে স্বদেশ রক্ষা করিবার জন্য প্রস্তুত হইতে লাগিলেন । অলিকসন্দর, চন্দ্রভাগ বা চিনাব, গ্ৰীক কথিত অকিসিনি বা সংস্কৃত অসিক্লী, পার হইবার পূৰ্ব্বে এরিষ্টোবোলস