পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/২৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२२ e ভারতে অলিকসন্দর করিতে সমর্থ হন । এই ভাবিয়া ভারতীয় যোদ্ধাগণ, দুর্গ মধ্যে বন্দীরষ্ঠায় অধস্থান না করিয়া রাত্রিকালে স্থান পরিত্যাগ করিতে মনন করেন। নিশীথ রাত্রে যখন চতুর্দিক নিস্তব্ধ ভাব ধারণ করিল, সেই সময় ভারতীয়ের হ্রদ অতিক্রমণ করিয়া গমন করে । ভারতীয়ের পাছে পলায়ণ করে, এই আশঙ্কায় অলিকসন্দর, সৈন্য ও সেনানীগণকে সতর্ক করিয়া রাখিয়াছিলেন। ক্ষত্রিয় যোদ্ধাগণকে আগমন করিতে দেখিয়া বংশীধ্বনি করিয়া মাসিদনগণ তাহাদিগকে ঘোরতর বিক্রমে আক্রমণ করিল। এই ঘোর রজনীতে দারুণ যুদ্ধের অভিনয় হইল, নগর ত্যাগ করিয়া যাওয়৷ সুবিধা জনক নহে বলিয়। আবার সকলে প্রত্যাগমন করিল। বাত্রির অবসানের সহিত, অলিক সন্দর ঘোরতর পরাক্রমে নগর আক্রমণ করিলেন । অলিকসন্দরের সৌভাগ্যবশতঃ তাহার সাহায্যের জন্য পুরু এই সময় স্বীয় হস্তী বাহিনী ও ৫ হাজার ভারতীয় যোদ্ধা সহ আগমন করেন। হায়! যে হস্ত ইতি পূৰ্ব্বে স্বদেশবাসীকে বিদেশীর অত্যাচার হইতে রক্ষা করিবার জন্য অস্ত্ৰধারণ করিয়াছিল, যে ব্যক্তি ইতিপূৰ্ব্বে আপনার শরীর হইতে উত্তপ্ত শোণিতধারা প্রদান করিয়া, জন্মভূমির যবন পদ স্পর্শ জনিত কলঙ্ক ধৌত করিয়াছিলেন, আজ তিনি যবন সম্রাট অলিকসন্দরের তুষ্টর জন্য স্বদেশবাসীর কোমল হৃদয়ে তীক্ষ অস্ত্র বিদ্ধ করিতে হস্তোত্তলন করিলেন ;–হায় ! আজি সেই ব্যক্তি নশ্বর জাগতিক উন্নতি লাভের জন্য, পবিত্র জন্মভূমিকে অধীনতা পাশে আবদ্ধ করিবার জন্য, সকলের অগ্রবর্তী হইলেন। বৈদেশিক শত্রুর হস্তে আপতিত বন্দীর, কোন রূপেই স্বদেশের বিরুদ্ধা