পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/২৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԳՋ8 ভারতে অলিকসন্দর যে কয়েকটি নগর আত্মপ্রদান করিয়া অলিকসন্দরের কৃপালাভ করিয়াছিল, সে সকল নগর অধিকার এবং তাহাতে সৈন্য রক্ষা করিবার জন্য,বুদ্ধিমান মেসিদনপতি সসৈন্য পুরুকে প্রেরণ করেন। অলিকসন্দর বুঝিয়াছিলেন যে, দেশের যেরূপ অবস্থ৷ তাহাতে মাসিদন সৈন্য, সে সকল স্থানে প্রেরণ করিলে তিনি দুৰ্ব্বল হইয়া পড়িবেন, আর বহুসংখ্যক ভারতবাসী কর্তৃক তাহারা আক্রান্ত হইলে আত্মরক্ষা করা তাহীদের পক্ষে সামান্য বিষয় হইবেন । এই জন্য দুরদর্শী অলিকসন্দর, পুরুকে সেই সকল স্থানে প্রেরণ করিয়া “য শক্র পরে পরে” নীতির অনুসরণ করিয়াছিলেন। o অলিকসন্দর, সাংগাল পরিত্যাগ করিয়া, তাহার রণতৃষ্ণ পরিতৃপ্ত করিবার জন্য, আবার পূর্বাভিমুখে অগ্রসর হইতে লাগিলেন । এইরূপ কয়েকদিন গমন করিয়া, তাহার হাইপাসিস নদীর তটভূমে উপস্থিত হন। একমাত্র এই বিদেশী নামে নদী নির্ণয় করা বড়ই সুকঠিন, ইহা অন্য কোন নদী নহে ইহা আমাদের বিপাশা, পুত্ৰশোকাভিভূত মহর্ষি বশিষ্ঠ, হস্ত পদ পাশবদ্ধ করিয়া উরুঞ্জিরা নদীতে নিমগ্ন হইলে, তিনি নদীর স্রোতে পাশছিন্ন হইয়। তটে নিক্ষিপ্ত হন, তদবিধি উরুঞ্জির পূৰ্ব্বনাম পরিত্যাগ বিপাশা নামে অভিহিত হন। * বিপাশা বা বর্তমান ব্যাসানদীর তটে মহাবাহু অলিকসন্দর শিবির সংস্থাপন করিয়া অবস্থান করিলেন । ° পাশা অস্যাং বিপাশ্যন্ত বশিষ্টস্য মুমূর্বত: তন্মাৎ বিপাড়, উচ্যতে পূৰ্ব্বমানীচুরুঞ্জিরা । ষাস্ক ।