পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/২৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఫ్చిల8 ভারতে অলিকসন্দর । মৰ্য্যাদা অক্ষুন্ন রাখিবার জন্য, নিম্নের উপায় অবলম্বন করিলেন। দেবোদেশে পূজা করিয়া তিনি বুঝিলেন যে, বিপাশা তাহার পক্ষে পাশ স্বরূপ হইয়াছে, ইহার পরপারে গমন তাহার পক্ষে মঙ্গলজনক হইবেন । এই কথা তিনি তাহার হৃদয়জ্ঞ-বন্ধুর সভায় প্রকাশ করিয়া, তাহার স্বদেশে প্রত্যাগমন বাসনা সৈন্যগণমধ্যে প্রচার করিতে আদেশ করেন । এই কথা অবগত হইয়া, সৈন্যগণ মধ্যে আনন্দের অবধি রহিল না ; অনেকে অলিকসন্দরের শিবিরের চতুঃপাশ্বে আনন্দধ্বনি করিয়া, কেহ বা অশ্রু বিসর্জন করিয়া আনন্দ প্রকাশ করিতে লাগিল । ডিওডোরস বলেন, ভগত] বা ফিগস, নামক একজন রাজা, অলিকসন্দরের বশ্যতা স্বীকার করেন। এই লোকটা প্রচুর উপহার ও ভারতীয় নানাপ্রকার উপাদেয় ভোজ্য প্রদান করিয়া, মেসিদনপতির কৃপা কণালাভ করেন । অলিকসন্দর ইহার আনুগত্যে এবং ইহার নিকট দেশের ভিতরকার তথ্য অবগত হইয়৷ প্রীত হইয়াছিলেন। ইহার নিকট তিনি নদীর অপর পার, ও পূৰ্ব্বদেশীয় রাজ্য সম্বন্ধে অবগত হইলেন যে, নদীর অপর পারে একটা সুবিস্তৃত মরুভূমী আছে, তাহ অতিক্রমণ করিতে দ্বাদশ দিবস অতিবাহিত হইয়া থাকে। তাহার পর গঙ্গা প্রবাহিত হইতেছেন, ইহা ভারতের অন্যান্য নদ নদী অপেক্ষা অধিক গভীর ইহার বিস্তৃতি প্রায় ৩২ ষ্টেডিয়া হইবে । ইহার পরে প্রাচ্যদেশ, ও গঙ্গারাড় ( গান্দায়ী দাই ) প্রদেশ, এদেশের রাজার নাম চন্দ্ৰমা-চন্দ্রগুপ্ত, ইহার অধীনতার ২০ হাজার অশ্ব, ২ লক্ষ পাতক, ২ হাজার রথ, এবং ৪ হাজার হস্তী, অযস্থান-করিতেছে । অলিকসন্দর, ফিগসের, কাছে, একথা শুনিয়া অসম্ভব বলিয়া