পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/২৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨૭૭ ভারতে অলিকসন্দর তত নিৰ্ব্বোধ নহে। অলিকসম্পরের এই বিজয়চিন্তু কতদিন বিতস্তার তটে মস্তক উন্নত করিয়া অবস্থান করিয়াছিল, তাহা আমরা বলিতেপারি না। একজন ইয়ুরোপীয় পরিব্রাজক, খৃষ্টের দ্বিতীয় শতাব্দীতে তারতবর্ষে আসিয়াছিলেন, তিনি এই বিজয়প্তম্ভ তখনও দেখিয়াছিলেন এবং তখনও তাহাতে লিখিত অক্ষরগুলি তিনি স্পষ্টরূপে পাঠ করিয়ছিলেন। আবার প্লটার্ক লিখিয়াছেন, গঙ্গার তটে অলিকসন্দর যে বিজয়ন্তম্ভ প্রতিষ্ঠা করেন, প্রাচ্যদেশের রাজা, প্রতিবৎসর গঙ্গ। পার হইয় গ্রীক প্রথায় এস্থানে পূজা করিতেন । প্লটার্কের এ কথার কোন মূল্য নাই, গঙ্গা তো দূরের কথা, যখন অলিকসন্দর বিপাশা উত্তীর্ণ হইতে সক্ষন হন নাই, তখন গঙ্গার তটে স্তম্ভ প্রতিষ্ঠা সম্পূর্ণ অসম্ভব । মিগাস্থিনিমস, ভারতবর্ষে অনেক দিন ছিলেন, তাহার ভারত বর্ণনা আমরা যেরূপ অবস্থায় প্রাপ্ত হইয়াছি, তাহাতে তিনি অলিক সন্দরের বিজয়বেদীর কথা কোনরূপ উল্লেখ করেন নাই । তিনি পাঞ্জাব অতিক্রমণ করিয়া পাটলিপুত্রে গমনাগমন করিয়াছেন, তিনি ইহা প্রত্যক্ষ অথবা এ দেশের রাজাকে তথায় পূজা করিতে দেখিলে, অবস্থাই বর্ণনা করিতেন। অলিকসন্দরের প্রত্যাগমনের পর,র্তাহার পক্ষীয়েরা যেরূপভাবে নিগৃহীত ও বিড়ম্বিত হইয়াছিল ; সম্ভবতঃ পূণ্যনদীর তটস্থিত তাহার কীৰ্ত্তিও সেইরূপ, কোনরূপে রক্ষণীয় নহে, তাহার অত্যাচারে প্রপীড়িত ভারতবসীরা,এইরূপ বিবেচন৷ করিয়া উৎখাত করিয়া থাকিবে । এই স্মরণীয় স্তম্ভগুলি কোথায় স্থাপিত হইয়াছিল, তাহ জানিবার জন্য ইয়ুরোপীয় মহাশরের বড়ই ভাবিত হইয়াছেন। কেহ বিবেচনা করেন গুরুদাসপুরে বিপাশারতটে ইহা নিৰ্ম্মিত হইয়! থাকিবে । বিপাশার কোনপারে