পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/২৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

38 о ভারতে অলিকসন্দর ৰখন উদ্যোগ করিতেছিলেন সেই সময় পার্মিনিওর জামাতা, বীরবর কৈনস, রুগ্ন হইয়৷ মানবলীলা সম্বরণ করেন। কিছুদিন পূৰ্ব্বে ইনি সৈন্যগণের পক্ষ অবলম্বন করিয়া, অলিকসন্দরকে স্বদেশে প্রত্যাগমনের জন্য অনেক কথা বলিয়াছিলেন । অলিকসন্দর ইহার মৃত্যুতে ব্যথিত হইয়া বলিয়াছিলেন, “এই কএক দিনের জীবনের জন্য এত বড় বস্তৃতা” । সামরিক সমারোহের সহিত কৈনসকে সমাহিত করিয়া, অলিকসন্দর মৃত সেনাপতির সম্মাননা করিয়াছিলেন । মাসিদনপতি ও র্তাহার সৈন্যগণকে বহন করিবার জন্য, প্রায় দুই হাজার নৌকা প্রস্তুত হইয়াছিল । ইহার মধ্যে ৮০ খান ৩০ দাড়ের বড় নৌকা, ঘোটকাদি বহনোপযোগী নানা আকারের অবশিষ্ট নৌকা প্রস্তুত হইয়াছিল। সমুদ্রের নিকটবৰ্ত্তী প্রদেশের নৌচলনায় সুদক্ষ যেসকল ব্যক্তি, সৈনিককার্য্যে ব্ৰতী হইয়াছিল, তাহার এক্ষণে নাবিকরূপে পরিণত হইল। হিমালয়ের পাদদেশ হইতে অপৰ্য্যাপ্ত পরিমাণে কাষ্ঠ সংগৃহীত হইয়া এই সকল নৌবাহিনী প্রস্তুত হইয়াছিল। নিয়ার্কস, এই নৌবাহিনীর প্রধান অধ্যক্ষপদে বরিত হন। অনিসিক্রিতো নামক একব্যক্তি, এই অভিযানে অলিকসম্বরের সহিত গমন করিয়াছিলেন। তিনি এই অভিযানের একখানি ইতিবৃত্ত ও প্রণয়ন করিয়াছিলেন। সে গ্রন্থ কেবলমাত্র মিথ্যা কথা নহে, নানাপ্রকার গাঁজাখুী গল্পে পরিপূর্ণ, নিজের মৰ্য্যাদা বৃদ্ধি করিবার জন্য এই বহরের তিনি সৰ্ব্বপ্রধান কৰ্ম্মচারী বলিয়া প্রকাশ করিয়াছেন। বান্ডবিকপক্ষে তিনি অলিকসন্দরের নৌকায় জল পরিমাণকাৰ্য্যে নিযুক্ত ছিলেন।