পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/২৬৭

Հ& 8 ভারতে আলিকসন্দর । দিবার জন্য ৮০৷৯০ হাজার পদাতিক, ১০ সহস্ৰ অশ্বারোহী, এবং ৭ হইতে ৯ শত যুদ্ধ রথ অবস্থান করিতেছে, তখন তাহাদের হৃৎকম্প উপস্থিত হইল। তাহারা চতুদিক অন্ধকার দেখিতে লাগিল। গাঙ্গেয় প্রদেশের পরিবর্তে যেন যুদ্ধদেবী এ প্রদেশে আগমন করিয়াছেন। এদেশের অগণিত দুৰ্দ্দমনীয় জনগণ, যেন শোণিত নদী প্রবাহিত করিয়া, তাহাদিগকে সমুদ্রাভিমুখে লইয়া যাইবার প্রণালী প্রস্তুত করিতে উদ্যত হইয়াছে। এই অশ্রুতপূৰ্ব্ব অজ্ঞাত দেশে, শক্ৰগণ নূতন বলে, নূতন তেজের সহিত, অবিভূতি হইয় তাহাদিগকে বাধাদিবার জন্য বদ্ধ পরিকর হইয়াছে । ইহার পরাজিত হইলেও, মাসিদনগণ যে কি পুরস্কার প্রাপ্ত হইবেন, সে বিষয় ভাবিয়া তাহারা আকুলিত হইয়াছিলেন । র্তাহীদের জন্য, সমুদ্র মধ্যে কোন গভীর অন্ধকার, কুঞ্জটিক, এবং দীর্ঘ রাত্রি অবস্থান করিতেছে,—সেই সমুদ্রের ভীষণকায় ভীতিপ্রদ জীবজন্তু সকল, সে সময় তাহাদের চিন্তার বিষয়ী ভূত হইয় তাহাদিগকে নৈরাশ্ব সাগরে নিমজ্জিত করিয়াছিল। ডিওডোরস বলেন, একজন দৈবজ্ঞ, অলিকসন্দরকে কোন যুদ্ধ হইতে প্রতি নিবৃত্ত হইতে পরামর্শ প্রদান করেন। বলা বাহুল্য যে, সে পরামর্শে অলিকসন্দর বিচলিত হন নাই। পাছে সৈন্যগণ এই কথা শুনিয়া ভগ্নোৎসাহ হইয়া পড়ে, এইভয়ে তিনি তাহাকে যথেষ্টরূপে তিরস্কার করেন । এই ঘটনায় মাসিদনর কিরূপ ভাবে বিভীষিকা গ্রস্ত হইয়াছিল, তাহা আমরা অবগত নহি । I পাদিক যে গ্রামের বিরুদ্ধে প্রেরিত হইয়াছিলেন, তাহার অধিবাসীরা, শক্রর আগমণ কথা অবগত হইয়া, গ্রাম পরিত্যাগ