পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/২৭৪

মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত । aや> দেখিয়া নিকটের লোক সকল স্তম্ভিত হইয়া পড়িল, কেহ আর নিকটে যাইতে সাহসী হইল না, সকলের চলৎশক্তি যেন রহিত হইল। দূর হইতে নিক্ষিপ্ত অস্ত্রশস্ত্রে, অলিকসন্দরের চতুর্দিক পরিপূর্ণ হইয় গেল। এখন তিনি বীরের ন্যায় কৃপাণ হস্তে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত হইলেন,—র্তাহার সহজাত বন্ধু চরণযুগল, আর র্তাহাকে বহন করিতে সমর্থ হইল না—তিনি মৃত্তিকার উপর লুষ্ঠিত হইয়া পড়িলেন এই সময় পিউকিস্তাস, অন্যদিক দিয়া দুর্গ মধ্যে প্রবেশ করিয়৷ অলিকসন্দরের সমীপবৰ্ত্তী হইলেন। পাঠকের বোধ হয় স্মরণ আছে যে, অলিক সন্দর এসিয়া ভূমে পদার্পণ করিয়া ট্রয়ের যুদ্ধক্ষেত্রে এথিন দেবীর মন্দিরে, নিজের একপ্রস্থ যুদ্ধ সজ্জা রাখিয়া, প্রাচীন বীরের যে একপ্রস্থ যুদ্ধসজ্জ গ্রহণ করিয়াছিলেন, এই পিউকিস্তাস সেই সকল পবিত্র দ্রব্য বহন করিয়া যুদ্ধের সৰ্ব্বাগ্রে গমন করিতেন । অলিকসন্দর, বিদেশে শক্রগণমধ্যে মৃত্যুকালে স্বদেশবাসীকে দেখিতে পাইয়া আশ্বস্ত হইলেন । পিউকিসতাস, ঢালের আবরণে রাজাকে রক্ষা করিলেন ; ইত্যবসরে আরও দুইজন মাসিদন যোদ্ধা, তাহার নিকট উপস্থিত হইল। দুর্গবাসীরা, যখন অবগত হইল যে, স্বয়ং অলিকসন্দর আহত হইয়া দুর্গমধ্যে পতিত রহিয়াছেন, তখন র্তাহাকে হস্তগত করিবার জন্য, ভারতীয় যোদ্ধারা সেই দিকে অগ্রসর হইল । যে তিনজন মাসিদন,অলিকসন্দরের নিকট উপস্থিত হইলেন, তাহার প্রভুর জন্য, অটল আচলের ন্যায় দাড়াইয়া যুদ্ধ করিতে লাগিলেন। একে একে তাহারা কেইবা সাংঘাতিক আধাতে সুছিত ইয়া, কেহবা নিহত হইয়া অলিকসন্দরের পদপ্রান্তে পতিত হইলেন।